মূর্তির পক্ষে সাফাই গাইতে এবার মাঠে নামানো হয়েছে আলেম নামধারী দালালদের। সম্মিলিত ইসলামী জোট নামের একটি সংগঠনের আলেম নামধারী কিছু ব্যক্তির উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা দাবী করেন, ভাস্কর্য মানে মূর্তি নয়। ভাস্কর্য স্থাপনকে মূর্তি স্থাপনের সঙ্গে তুলনা করে এটাকে বিজাতীয় সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেওয়াকে মামা বাড়ির আবদার বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট নামধারী এই ব্যক্তিরা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।
তিনি বলেন, ‘মূর্তি বা ভাস্কর্য মানেই শিরকের উপকরণ নয়।’
’হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতি নয়, এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতিতে যেসব জিনিস শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদিতার মিশ্রণ ছাড়াই দীর্ঘদিন থেকে পালিত হয়ে আসছে, সেটিকে হঠাৎ করে শিরক সংস্কৃতি বলা নোংরা রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। এসময় চরমোনাইয়ের পীর মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এবং হেফাজতের ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে দেশ বিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ভাস্কর্য, প্রতিমা পূজা, মূর্তি সব এক জিনিস নয়। মূতি বা ভাস্কর্য মাত্রই শিরকের উপকরণ নয় দাবি করে সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি আরও বলেন, ‘যেটি যে উদ্দেশ্যে বানানো হয়, সেটিকে সেভাবে বিবেচনা করতে হবে। সৌদি আরবের জেদ্দার মূল কেন্দ্রে “দি ফিস্ট” নামে একটি ভাস্কর্য আছে, এটি একটি মুষ্টিবদ্ধ হাতের ভাস্কর্য। আরও আছে ঘোড়ার ও মাছের ভাস্কর্য; একইভাবে মুসলিম অধ্যুষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরে রয়েছে ঘোড়া ও অন্যান্য জীবের ভাস্কর্য। সুতরাং বলা যায়, ভাস্কর্য জীবের হোক বা জীব দেহের কোনও অংশের হোক, তা যদি শিরক বা পূজার উদ্দেশ্যে নির্মিত না হয়, তবে এতে দোষের কিছু নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জোটের সহ-সভাপতি মুফতি জোবাইদ আলী, ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ আব্দুস সোবহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন ফোরকান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন, মুফতি মাওলানা শরীফ হোসাইন প্রমুখ।