৩০ এপ্রিল ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের আতঙ্ক ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান।
বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশের নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। যখন দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। তখন সরকারি দলের মন্ত্রীরা এমন ভাষায় কথা বলছেন, যে কথা শুনলে সারাদেশের মানুষ লজ্জিত হয়। গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্ত আছে। বাংলাদেশের মানুষ যদি বেহেস্তে থাকে তাহলে তো তারা আপনাদের ভোট দেবে। তাহলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আপনাদের ভয় কেন? এত আতঙ্ক কেনো? সরকার ভোটের আতঙ্কে ভুগছে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল, সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বাছির জামাল, কৃষক দলের যুগ্মসম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, তাঁতি দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মরিরুজ্জামান মনি, জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলের সভাপতি আমির হোসেন বাদসা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ আযম খান বলেন, সরকারের রোষানলের কারণে অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার চেষ্টা করেও দেশের বাইরে নেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের অধীনে নির্বাচন করার জন্য দেশে দেশে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা বলছে সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন করবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের বাইরে নয়। আমরা আওয়ামী সরকার নয়, সংবিধান মোতাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, এই বাকশাল সরকার প্রথমে আমার দেশ পত্রিকার উপর আক্রমণ করেন। আমার দেশ বন্ধ করে দেয়। পর্যায়ক্রমে দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, সর্বশেষ দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলছি এই অবৈধ সরকারের কোনো আইন আমরা মানি না। সরকারকেও মানি না
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে চরম ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই। ঘর থেকে বের হলে ঘরের ফেরার নিশ্চয়তা নাই।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে এই আইন চলতে পারে না। সরকার ক্ষমতায় থাকতে এই আইন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধ হওয়া মামলা প্রত্যাহার, বন্ধ করে দেয়া গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বছির জামাল বলেন, শতশত সাংবাদিক বেকার। ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বরে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ লুটপাট করছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। তারা মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। দ্রুত সরকারের পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তিনি।