- নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর থেকে
- ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৪৪
ফরিদপুর বিভাগীয় আইনজীবী প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে নেয়ার হুমকি মানে গণতন্ত্র ধ্বংস করার হুমকি। এই হুমকিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত নয়। যাদের পায়ের নিচে মাটি নেই তারাই হুমকি দেয়। যাদের জনগণের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই তারাই হুমকি দেয়।’
তারা বলেন, বিএনপির দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। ১২ নভেম্বর ফরিদপুরের গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। ফরিদপুরের মাটি থেকেই এই সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজবে ইনশাআল্লাহ।
আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার আইনজীবী ফোরামের এ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই গণসমাবেশের উদ্দেশ্য স্বৈরাচারী বিদায় করা। আর কোনো আপস নয়। স্বৈরাচারী বিদায় নিতে হবে। গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে। স্বৈরাচারীর পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না। স্বৈরাচারীর পতন অবসম্ভাবী।’
এতে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে দেয়ার হুমকি মানে গণতন্ত্র ধ্বংস করার হুমকি। এই হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমানো যাবে না। এই হুমকিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত নয়। একটু ধৈর্য ধরেন, কে কাকে জেলে পাঠায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এই গণসমাবেশ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সমাবেশ। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার সমাবেশ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সমাবেশ। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার সমাবেশ।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর ইউনিটের সভাপতি আলী আশরাফ নান্নুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক জসিম উদ্দিন মৃধার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিমুজ্জামান সেলিম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জাব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো: কামরুল ইসলাম সজল।
সভায় ঢাকা থেকে অংশ নেন- রফিকুল ইসলাম মিয়াজী, জামিল আক্তার এলাহী, রুহুল কুদ্দুস কাজল, শহিদুল ইসলাম শপু, মোহাম্মদ আলী, কামরুজ্জামান মামুন, এ জেড এম মোরশেদ আল মামুন লিটন, ইমাম হোসেন সিডনি, মনিরুজ্জামান আসাদ, মাহমুদ হাসান, আবদুল্লাহ আল মাহবুব, এম সাকিবুজ্জামান, কে আর খান পাঠান, ফাইয়াজ জিবরান মইন, নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, মো: আবুল খায়ের খান, মো: মাহফুজুর রহমান, এ কে এম মোক্তার হোসেন, মো: মাকসুদ উল্লাহ, আনিছুর রহমান খান, মো: শহিদুল ইসলাম, তাজরুল ইসলাম, মো: ওসমান চৌধুরী, ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, মো: আমিনুল হক মজুমদার, মো: আশিকুজ্জামান নজরুল, খলিলুল্লাহ কাসেম, মাহবুবুর রহমান দুলাল, রাসেল মাহমুদ, মু. কাইয়ুম।
এছাড়া শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল খায়ের, মাদারীপুর জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এমারত হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা ফোরামের সভাপতি এ এন এম শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।