ঢাকা
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন (অলির নেতৃত্বাধীন নয়) বলেছেন, ২০–দলীয় জোটের সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা ১০ বছরে একটি মানববন্ধন বা সভা করতে পারেননি, তাঁদের জোটে রাখা ঠিক হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এলডিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটে আছি। আমরা এক সুরে এক বাক্যে কথা বলব। এই মুহূর্তে আমাদের জাতীয় নেতা রিজভী ভাইয়ের প্রতি আবেদন, ২০–দলীয় জোট গঠন করার পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত যাঁরা একটি মানববন্ধন পর্যন্ত করতে পারেননি, যাঁরা একটা সভা করতে পারেননি, তাঁদের ২০ দলে রেখে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অপমান করা ঠিক হবে না। যখন ২০–দলীয় জোটের সভা ডাকা হয়, তখন জোটের অনেক নেতা উপস্থিত হন, যাঁরা বিএনপি করলে থানা পর্যায়ের নেতা হতে পারতেন না। তাঁদেরকে জায়গা দিতে হয় বিএনপির সিনিয়র নেতার সঙ্গে। এ কারণে ২০–দলীয় জোটে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।’
কল্যাণ পার্টির ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।
আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যে মামলার কোনো সাক্ষী নেই, কোনো প্রমাণ নেই, অন্যায়ভাবে সেই মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই অন্যায় সাজার কাছে খালেদা জিয়া মাথানত করবেন না।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী প্রায় আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলেন। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় জাস্টিস সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং জজ কোর্টের জজ মুতাহার সাহেবকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে? এটার কোনো উত্তর দিতে পারেননি আইনমন্ত্রী।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘আমরা হোম মিনিস্টারের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি মানবিক কারণে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রার্থনা করেছি। মানবিক কারণ এক জিনিস, ক্ষমা প্রার্থনা আরেক জিনিস। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন না। তিনি এমন কোনো অপরাধ করেনি, যার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা নিঃস্বার্থ তাঁর মুক্তি চাই।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ২০–দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, নৈতিক সমাজের আহ্বায়ক আমসা আমিন প্রমুখ।
সভার শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।