ভারতীয়_মিডিয়া_বাংলাদেশকে_বিপদে_ফেলতে_ভয়ঙ্কর_ষড়যন্ত্র_করে_যাচ্ছে

#ভারতীয়_মিডিয়া_বাংলাদেশকে_বিপদে_ফেলতে_ভয়ঙ্কর_ষড়যন্ত্র_করে_যাচ্ছে

সম্প্রতি ভারতের মিডিয়া দাবি করেছে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যাবহার করে চীনের অস্ত্র বিনাবাধায় চলে যাচ্ছে আরাকান আর্মির কাছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি বার্মায় রাখাইন এবং চিন প্রদেশে বার্মার সামরিক বাহিনীর সাথে বড় রকমের সংঘর্ষে লিপ্ত। আর তাদের ব্যাবহার করা চাইনিজ অস্ত্র তাদের হাতে পৌছাচ্ছে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহার করেই।

ভারতের মিডিয়ার দাবি বড় রকমের অস্ত্রের চালান ফেব্রয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আরাকান আর্মির কাছে গেছে যার ভেতর রয়েছে ৫০০ টি এসল্ট রাইফেল, ৩০ টি ইউনিভারসাল মেশিন গান, ৭০,০০০ রাউন্ড গুলি এবং প্রচুর পরিমানে গ্রেনেড।

তাদের দাবি ঝক্কি ছাড়ায় নিরাপদে অস্ত্রের চালান একুশে ফেব্রুয়ারি অস্ত্রের চালান Whaikyang এর কাছে Monakhali বিচে খালাস করা হয়। প্রায় ১৫০ জন রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা এবং ৫০ জন আরাকান আর্মির যোদ্ধা সেটাকে পায়ে বহন করে থানচি এর কাছে সান্দাক আরাকান আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

ভারতের মিডিয়ার দাবি বাংলাদেশ আর্মি এদিকে কোন পেট্রলিং করে না এবং কাছের ক্যান্টনমেন্ট আলিকদমের দুরত্ব এখান থেকে অনেক বেশি। বাংলাদেশ আর্মি এবং নেভি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা অনেক বছর ধরে বলে তারা দাবি করে।

তাদের মতে বাংলদেশি ফোর্সেস আরাকান আর্মি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় কারন তাদের শক্তিশালি বাহিনী বার্মাকে বিপদে ফেলছে যা বাংলাদেশের জন্য অখুশীর কিছু না।

এই ধরনের অভিযোগ খুবি স্পর্শকাতর একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ভারত সেটিই করছে। ভারত গতবছর আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অপারেশন চালিয়েছিল মিজোরামে এই উদ্দেশ্যে যে তাদের নেয়া কালাদান মাল্টিমডাল প্রজেক্ট যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে।

ভারতের মিডিয়ার ভয়ংকর যে দাবি করেছে সেটি হল, বার্মা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি বাহিনীর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। তারা চাইছে যে শান্তি বাহিনীকে দিয়ে আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দমন করতে। এই সম্পর্কে তাদের দাবি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহীনি গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টির উপর নজর রেখে চলেছে যেন শান্তি বাহিনী আবার জেগে না উঠে।

মজার ব্যাপার হল সান্দাক ক্যাম্প থেকে অস্ত্রের চালান আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে নিয়ে যেতে দক্ষিণ মিজোরামের পারভা করিডোর ব্যাবহার করছে যেখানে স্থানীয় খুমি সম্প্রদায়ের সাথে বিদ্রহীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

ভারত আরো দাবি করেছে যে থাইল্যান্ডের একজন এক্সপার্ট এশিয়ার অস্ত্র চোরাচালান নিয়ে একটি তথ্য দিয়েছে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে। তার মতে, চীনের সরকারি অস্ত্র নির্মাতা নরিনকো আরাকান আর্মির মত বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।

তার ভাষ্যমতে TCL, Norinco front থেকে চালান গুলি লোড করা হয় জাহাজে। এটি করা হয় দক্ষিণ চীনের Heibei বন্দরে। থানচি এর কাছে সান্দাকে পৌছানোএ পর এটাকে ছোট ছোট ব্যাচে করে থানচি-নাইক্ষং-ফারুয়া-পারভা-পালেতোয়া রুট ব্যাবহার করে। Paletwa বার্মার Chin রাজ্যে অবস্থিত যার সাথে মিজরামের বর্ডার আছে।

মজার ব্যাপার হল আরাকান আর্মির মাধ্যমে আনা F-6 চাইনিজ ম্যানপ্যাড যেটা দিয়ে হেলিকপটার, দ্রোন, শুট করা সম্ভব সেগুলা বার্মার টাটমাডাউ এর বিরুদ্ধে রাখাইন এবঅং চিন রাজ্যে ব্যাবহার হচ্ছে। চীন এর আগে the United Wa State Army কেও ম্যানপ্যাড সরবরাহ করেছিল যা এতটাই শক্তিশালি যে বার্মিজ আর্মিও তাদের আক্রমন করতে ভয় পায়।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়া গুলি উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের গাত্রদাহ যে শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে তা নয়। তারা চীনকে নিয়েও অসহ্য যন্ত্রনা বোধ করে।

লিঙ্ক: https://nenow.in/…/chinese-weapons-for-arakan-army-through-…