প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জোড়া গোলে ম্যানইউকে জেতালেন রোনালদো

প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জোড়া গোলে ম্যানইউকে জেতালেন রোনালদো। – ছবি : সংগৃহীত

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে এক যুগ পড়ে খেলতে নেমেই চমকে দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অসাধারণ খেলে বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বিশ্বসেরা। ১২ বছর ১২৪ দিন পড়ে এই ক্লাবের জার্সিতে আবার গোল করলেন রোনালদো। এ দিন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন সিআর সেভেন।

দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্যাপের পর প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সিআর সেভেন। দায়িত্ব নিয়ে জোড়া গোল করলেন। জড়তা কাটিয়ে দলের মধ্যে আক্রমণাত্মক মেজাজ ফিরিয়ে আনলেন। আর তার উপস্থিতিতে যেন অন্য রূপে পাওয়া গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। নিজে তো অসাধারণ খেললেনই। সাথে পুরো দলকেই উদ্দীপ্ত করলেন।

শুরুটা করেছিলেন রোনাল্ডো। তার দেখানো পথে হেঁটেই ৪-১ জয় ছিনিয়ে নিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

বিরতির আগেই সফল হয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রেড ডেভিলসরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে হাভিয়ার ম্যানকুইলো বল পেয়ে ইউনাইটেডের রক্ষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুরন্ত একটি গোল করেন। তবে ফের ব্যবধান বাড়াতে সময় নেননি সিআর সেভেন। রোনাল্ডো ২-১ করার পর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জেসি লিংগার্ডের গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় ম্যানচেস্টার।

প্রথম পর্তুগিজ ফুটবলার হিসেবে ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পা রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ছোয়ায় নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।

প্রিয় গুরুর কাছে তাই ঋণ শোধ হওয়ার নয় সিআর সেভেনের। পুরনো ঠিকানায় এসেছেন তাও কয়েকদিন পেরিয়ে গেছে। সমর্থকদের আর তর সইছে না রোনালদোকে মাঠে দেখার। এরইমধ্যে পিএসজিতে অভিষেক হয়ে গেছে মেসির। রোনালদোর অভিষেক নিয়ে অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না।

সবার অপেক্ষা শেষ হয় নিউক্যাসেল ম্যাচেই। এ ম্যাচেই ৭ নম্বর জার্সিতে পুরোনো সাম্রাজ্যে আবারো রাজত্ব শুরু করেন রোনালদো। ক্যারিয়ারে আজ যা অর্জন তার ভিত্তিটা যে হয়েছিল ইউনাইটেডেই। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের লিগে ৭ বার শিরোপা জয়ের স্মৃতি আছে রোনালদোর। এর মধ্যে তিনটিই ইউনাইটেডের হয়ে। দু’বার রিয়াল মাদ্রিদ আর দুটি উপহার দিয়েছেন জুভেন্টাসকে।