- তৈমূর আলম খন্দকার
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
ভাত ও ভোটের অধিকারের দাবির কারণেই মাত্র ২৪ বছর বয়স্ক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি দুই টুকরো হয়ে যায়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ পায়। তখন সম্পদের সুষম বণ্টনের দাবি ধীরে ধীরে স্বাধিকার আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭০-৭১ সালের জাতীয় নির্বাচনের রেজাল্ট নিয়ে ষড়যন্ত্র করার কারণেই বিক্ষুব্ধ বাঙালি অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ায় বাঙালি জাতি একটি সংবিধান পেল, সংবিধানের ৬৫(২) এ বলা হয়েছে, একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হতে ‘প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফায় কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে, সদস্যগণ সংসদ সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।’ ‘প্রত্যক্ষ নির্বাচন’ বলতে ভোটার তালিকাভুক্ত নাগরিকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনকেই বোঝায়।
১. রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এই সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলোর কোনো একটা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে অনুরূপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা, নির্দেশ দিতে পারিবেন যে রাষ্ট্রে শুধু একটা রাজনৈতিক দল (অতঃপর জাতীয় দল নামে অভিহিত) থাকিবে।
২. যখন ১ দফার অধীন কোনো আদেশ প্রণীত হয়, তখন রাষ্ট্রের সব রাজনৈতিক দল ভাঙিয়া যাইবে এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় দল গঠন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
৩. জাতীয় দলের নামকরণ, কার্যসূচি, সদস্যভুক্তি, সংগঠন, শৃঙ্খলা, অর্থসংস্থান এবং কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সকল বিষয় রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৪. (৩) দফার অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ-সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি জাতীয় দলের সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন।
৫. এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও যখন জাতীয় দল গঠিত হয়, তখন কোনো ব্যক্তিÑ
(ক) যদি তিনি, যে তারিখে জাতীয় দল গঠিত হয়, সেই তারিখে, সংসদ-সদস্য থাকেন, তাহা হইলে তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় দলের সদস্য না হইলে সংসদ-সদস্য থাকিবেন না এবং সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে;
(খ) যদি তিনি জাতীয় দলের দ্বারা রাষ্ট্রপতি বা সংসদ-সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত না হন, তাহা হইলে অনুরূপ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বা সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না;
(গ) জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করিবার বা অনুরূপ দলের সদস্য হইবার কিংবা অন্যভাবে অনুরূপ দলের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হইবেন না।
৬. এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কোনো আদেশ পরবর্তী কোনো আদেশ দ্বারা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
চতুর্থ সংশোধনীতে সংবিধানে উক্ত সংযোজন আনার ফলে ১৯৭৫ সালে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। তখন বিলুপ্ত হয় অন্য সব রাজনৈতিক দল। পরবর্তী প্রেক্ষাপটে জাতীয় দল বা একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হলেও কিন্তু নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর গণ-আস্থা সৃষ্টি না হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়। তখন স্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। ওই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, বাম দলসহ সব রাজনৈতিক দল যুগপৎ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখে। অতঃপর ১৯৯৬ সালের ২৮ মার্চ সংবিধানের ১৩তম সংশোধনের মাধ্যমে অনুচ্ছেদ-৫৮(খ) সংযুক্ত করে ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বিধান চালু করা হয়।
সংবিধানে ৫৮(খ) সংযোজনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু করা হয়, যা নিম্নরূপ :
‘১. সংসদ ভাংগিয়া দেওয়ার পর বা মেয়াদ অবসানের কারণে ভঙ্গ হইবার পর যে তারিখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যভার গ্রহণ করেন সেই তারিখ থেকে সংসদ গঠিত হওয়ার পর নূতন প্রধানমন্ত্রী তাহার পদের কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকিবে।
২. নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার যৌথভাবে রাষ্ট্রপতির নিকট দায়ী থাকিবেন।
৩. (১) দফায় উল্লেখিত মেয়াদে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক বা তাহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা, ৫৮(ঘ)(১) অনুচ্ছেদের বিধানবলি সাপেক্ষে, প্রযুক্ত হইবে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী তৎকর্তৃক উহা প্রযুক্ত হইবে।
৪. ৫৫(৪), (৫) ও (৬) অনুচ্ছেদের বিধানাবলি (প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহকারে) (১) দফায় উল্লেখিত মেয়াদে একইরূপ বিষয়াবলির ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে।’
৫৮(গ) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন, উপদেষ্টাগণের নিয়োগ ইত্যাদি :
“১. প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা এবং অপর অনধিক দশজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হইবে, যাহারা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
২. সংসদ ভাঙ্গিয়া দেয়ার বা ভংগ হইবার পরবর্তী পনের দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা নিযুক্ত হইবেন এবং যে তারিখে সংসদ ভাঙিয়া দেয়া হয় বা ভঙ্গ হয় সেই তারিখ হইতে যে তারিখে প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হন সেই তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে সংসদ ভাঙিয়া দেয়ার বা ভঙ্গ হইবার অব্যবহিত পূর্বে দায়িত্ব পালনরত প্রধানমন্ত্রী ও তাহার মন্ত্রিসভা তাহাদের দায়িত্ব পালন করিতে থাকিবেন।
৩. রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষে অবসরপ্রাপ্ত হইয়াছেন এবং যিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উপদেষ্টা নিযুক্ত হইবার যোগ্য তাহাকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্তরূপ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মত হন, তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অব্যবহিত পূর্বে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করিবেন।
যদি কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি প্রধান উদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মত হন, তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষে অবসরপ্রাপ্ত হইয়াছেন এবং যিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উপদেষ্টা নিযুক্ত হইবার যোগ্য তাহাকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্তরূপ অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে পাওয়া না যায় অথবা তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মত হন, তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণের মধ্যে সর্বশেষে অবসরপ্রাপ্ত অনুরূপ বিচারকের অব্যবহিত পূর্বে অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করিবেন।
৫. যদি আপিল বিভাগের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে পাওয়া না যায় অথবা তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মত হন, তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি, যতদূর সম্ভব, প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের সহিত আলোচনাক্রমে, বাংলাদেশের যেসব নাগরিক এই অনুচ্ছেদের অধীনে উপদেষ্টা নিযুক্ত হইবার যোগ্য তাহাদের মধ্য হইতে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করিবেন।
৬. এই পরিচ্ছেদে যাহা কিছু থাকুক না কেন, যদি (৩), (৪) ও (৫) দফাসমূহের বিধানাবলিকে কার্যকর করা না যায়, তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি এই সংবিধানের অধীনে তাহার স্বীয় দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করিবেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি সংযোজিত হয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের হাতেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতির মৃত্যু (বিলুপ্ত) হলো। তার পর থেকেই শুরু হলো নির্বাচনে হরিলুটের পুনরাবৃত্তি।
বর্তমানে সংবিধান মোতাবেক একটি ‘নির্বাচন’ নামক নাটক হয়, কিন্তু সেখানে কোনো প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। সরকার ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের চাপার জোরে হরিলুটের নির্বাচনকে বৈধ করার শতচেষ্টা করেও জনমনে আস্থা সৃষ্টি করতে পারছে না। কারণ ভোটাররা জানে ভোটকেন্দ্রে জনগণ যায়নি এবং জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি।
বিগত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না এবং হতে পারে না। কারণ আমাদের দেশের প্রশাসন জনস্বার্থে বা জনগণের নয়। তাদের প্রমোশন ও চাহিদামতো লোভনীয় পোস্টিং যার হাতে তারই সেবাদাস হিসেবে প্রশাসন ব্যবহৃত হয়। ফলে জনগণকে আর ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় না, জালভোট মেরে বাক্সভর্তি করার জন্য তখন পুলিশ ও প্রশাসনই যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে উদগ্রীব।
স্বচ্ছ নির্বাচনপদ্ধতির মাধ্যমে কাক্সিক্ষত জনপ্রতিনিধিকে ভোটদান করার জন্য বাঙালি জাতির আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘ দিনের, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। যখন যে ক্ষমতায় থাকে তখন তার সেবা দাস হিসেবে প্রশাসন কাজ করে বিধায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, অন্য দিকে পেশিশক্তির প্রভাবে কেন্দ্র দখলের সংস্কৃতি থেকে জাতি মুক্তি চায়। কিন্তু যারা জাতির বিবেক বলে দাবিদার তাদের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে সব প্রকার অনাচার বৈধতা পাচ্ছে, তার পরও একটি গোষ্ঠী রয়েছে যারা সব অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার, কিন্তু অনাচার সৃষ্টিকারীরা প্রবল শক্তিশালী বলে প্রতিবাদীরা স্ট্যান্ড নিতে পারছে না। সংবিধানকে পদদলিত করা হচ্ছে, অথচ সংবিধানকে রক্ষার জন্য যারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (বিচার বিভাগ) তারাও এ অনাচার সহ্য করে নিচ্ছে।
‘সংবিধান’ যদি কথা বলতে পারত তবে সংবিধানকে যেভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে তার অসহ্য বেদনা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রকাশ করতে পারত। গতি হারিয়ে সংবিধান এখন নীরব নিস্তব্ধ। বাংলাদেশে অনেক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল থাকা সত্ত্বেও ‘রাজনীতি’ এখন অসহায় হয়ে বুটের নিচে চলে গেছে। রাজনীতি এখন আদর্শভিত্তিক হওয়ায় পরিবর্তে ‘ক্ষমতা’ভিত্তিক হয়ে পড়েছে। ফলে কেউ কাউকে আস্থায় আনতে পারছে না। অন্য দিকে দলের অভ্যন্তরে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, যার জন্য দলের ভেতরে সৃষ্টি হচ্ছে উপদল, যার সুবিধা ভোগ করছে সরকার।
রাজনীতি সচল রাখার স্বার্থে সংবিধানের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা বাঞ্ছনীয়। কারণ বর্তমানে সংবিধান নিরুপায়। সংবিধান যদি নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে না পারে তবে সবই হবে ছাপার অক্ষরে ছাপানো একটি জড় বস্তু মাত্র। সংবিধান কার্যকরের দাবিতে জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাঙালি জাতির প্রাণের দাবি যা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বীর বাঙালি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্লোগানে যথা : ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এবং ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ঠিক তেমনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য নিজেদের ভোটাধিকার কার্যকর ও বাস্তবায়নের জন্য তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার দাবিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা আবশ্যক। যার জন্য প্রথমেই দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গগনবিদারী ঐক্যবদ্ধ স্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’- এ স্লোগানে জাতি আবারো পুনর্জীবিত হোক।
লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী
E-mail: [email protected]