
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে নিয়ে অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই মুহূর্তে সাংগঠনিক সফরে ইউরোপ অবস্থান করছেন। আর গণঅধিকার পরিষদ ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা থেকে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের একমাত্র অর্গানিক দল। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গণঅধিকার পরিষদ এ দেশের মানুষের নিপীড়িত-শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে গেছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর শেখ হাসিনার শত কোটি টাকা ও এমপি-মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ প্রত্যাখান করে মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে রাজপথকে বেছে নিয়েছেন। নুরুল হক নুর ও দেশ-বিদেশে গণঅধিকার পরিষদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হয়রানি, লাঞ্চিত ও নির্যাতিত, এমনকি কারাবরণ করতে হয়েছে। এ দেশের মানুষ জানে শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমাগত ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে উত্থিত বিপ্লবী তরুণ শক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই গণঅধিকার পরিষদের জন্ম এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রুপকার নুরুল হক নুর এই তরুণ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে জনআকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অর্থ এই নয় যে, তিনি তার দল বিলুপ্ত করে অন্য পার্টিতে যোগদান করবেন। আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ও গণঅধিকার পরিষদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে কেউ কেউ তার এই মহৎ আকাঙ্ক্ষাকে বিকৃত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারের চেষ্টা করছেন।
গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ সকলকে এ ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।