চট্টগ্রাম বন্দরের জঞ্জালমুক্ত করার লক্ষ্যে নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পণ্য সরানোর কার্যক্রমে গতি এনেছেন। মঙ্গলবার বন্দরের এক্স-ওয়াই শেড পরিদর্শনকালে তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা গাড়িগুলো মাত্র ২০ মিনিটেই সরানোর ব্যবস্থা করেন। তার নির্দেশে দ্রুত ক্রেন ব্যবহার করে এই জায়গা পরিষ্কার করা হয়।
উপদেষ্টা জানান, শেডে থাকা গাড়িগুলো ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এবং স্ক্র্যাপ পণ্য ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিলামের মাধ্যমে সরানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি এখানে তিন মাস আগে এসেছিলাম। যা দেখেছি, এখনো প্রায় সেই অবস্থায় আছে। কিছু কমেছে, কিন্তু এই গতিতে চললে কাজ শেষ করতে আরও তিন বছর লেগে যাবে। আমি এনবিআরকে অনুরোধ করেছি, দ্রুত নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের অনিয়ম দূর করতে কড়া নির্দেশনা দেন নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমদানি-রফতানি যদি সময়মতো সম্পন্ন না হয় এবং বন্দরে জায়গার অভাব দেখা দেয়, তা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। এখানে ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে, যা কার্যক্রম ব্যাহত করছে। এসব অনিয়ম বের করার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।”
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা জানান, এনবিআর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় নিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান ও বন্দর সচিব ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
janakantha