অভিজ্ঞতার ধোঁয়া তুলে অনেক কথাই বলা হয়েছিল। দেখানো হয়েছিল অলীক সব স্বপ্নও। বিশ্বকাপের পর টি২০ থেকে অবসর নেওয়া রোহিত, কোহলি, জাদেজা তো বটেই; টেস্ট সিরিজ খেলা একজনকেও রাখেনি ভারত। ‘ব্র্যান্ড নিউ’ এই দলে গতকাল আবার দু’জনের অভিষেকও হয়েছে। কিন্তু এই অনভিজ্ঞ-নবীনদের বিপক্ষেই দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটিং! এক বল বাকি থাকতে ১২৭ রানে অলআউট। অবশ্য যেভাবে উইকেট পড়া শুরু হয়েছিল, তাতে এই রানই অনেক!
গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক টি২০। উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। মাঝেমধ্যে কিছু অসম বাউন্স ছাড়া বল ভালোভাবেই ব্যাটে এসেছে। তার পরও বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলতে পারেননি। কয়েকজনের আউট দেখে হতাশই হতে হয়েছে। ঠিক এক বছর পর টি২০ খেলতে নামা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ফ্লিক করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ছয় মেরে দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ওভারে আর্শদীপের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। বলটি অবশ্য প্রত্যাশামতো ওঠেনি, কিছুটা নিচু হয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই ব্যাটের নিচের দিকে লেগে স্টাম্পে চলে যায়। এর আগে প্রথম ওভারে ক্যাচ দেন অপর ওপেনার লিটন কুমার দাস। তিনিও আর্শদীপের শিকার। আগের বলে চার মেরে পরের বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দিয়ে আসেন লিটন।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এখন টি২০ স্পেশালিস্ট ভাবা হয় তাওহিদ হৃদয়কে। গতকাল তিনিই সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর বলে শুরুতেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। যদিও কপাল গুণে আউট হওয়ার বদলে চার পেয়ে গিয়েছিলেন সে বলে। গতি তারকা মায়াঙ্ক যাদবের পরের ওভারে ফুটে ওঠে হৃদয়ের অসহায় অবস্থা। বলের লাইনেই ব্যাট নিতে পারছিলেন না তিনি। এ সুযোগে মেডেন দিয়ে আন্তর্জাতিক পথচলা শুরু করেন মায়াঙ্ক। ১৮ বলে ১২ রান করে হৃদয় যখন বরুণের বলে পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আসছিলেন, তখন তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল মুক্তি মিলেছে বুঝি!
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আউট হয়েছেন ভীষণ বাজেভাবে। তাঁর আউটের ধরন দেখে সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে হাসির রোল উঠেছিল। আরেক ব্যাটার জাকের আলী তো বরুণের বলই বোঝেননি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৭ রান করে তিনি ওয়াশিংটনকে ফিরতি ক্যাচ দিলে বাংলাদেশের ১০০ নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। মিরাজ অবশ্য সে শঙ্কা দূর করেন।
samakal