আন্দোলনে থাকা দল নিয়ে হবে জনগণের সরকার

আন্দোলনে থাকা দল নিয়ে হবে জনগণের সরকারবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দলকে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এ সরকার হবে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির সরকার। রাজনৈতিক সরকারই পারবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। তবে তাদের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। দেশে সব বিপদ কেটে যায়নি, তাই গণতন্ত্রের পক্ষে সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিটি মানুষকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বহু মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সরকারকে ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করব।
এর আগে সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুম-খুন, হামলায় আহত ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। বিকেল ৩টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার আগে থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়াম।
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি পরিবারকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর একটি অংশ এই কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের লোকজন দেশের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি করেছে। পাচার করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু  দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিদেশে আমার কোনো বাড়ি নেই। আমিও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমারও বিদেশে কোনো বাড়ি নেই। বাংলাদেশই আমার বাড়ি।
কিশোরগঞ্জের সম্ভাবনাময় দিক তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, এখানকার হাওরে  বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায়। দেশের  মিঠা পানির মাছের চাহিদা মেটায় হাওর এলাকা। বিদেশে এই মাছ কেন আমরা রপ্তানি করতে পারব না? গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে যেমন বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি, ঠিক একইভাবে মাছ রপ্তানিতেও আমরা বাংলাদেশকে পরিচিত করতে পারব বিশ্বের দরবারে।
তিনি বলেন, এই কাজগুলো করতে পারবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। কারণ, জনগণের সরকারের বাধ্যবাধকতা, জবাবদিহি থাকবে।
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল করিম টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল প্রমুখ।

samakal

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here