বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি ব্যবহার করেও ভারতকে রেল করিডোর দিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে দেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘জিয়া শিশু-কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপির সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ড. রিপন আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধূ নির্বাচন থেকে দুরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে উনাকে দণ্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকার প্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়শই বলেন, বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও বেগম খালেদ জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লিখা নেই। অথচ তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি বাংলাদেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকতো তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেতো।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) দিকে ইঙ্গিত করে ড. রিপন বলেন, ওরা যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পরতে পারে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন। জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কে এস হোসেন টমাস।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দির দ্রুত মুক্তি দাবি করেন।
bangla outlook