‘আমাকে টানাহেঁচড়ার মধ্যে রাখা হচ্ছে’

‘আমাকে টানাহেঁচড়ার মধ্যে রাখা হচ্ছে’

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারক এম এ আউয়াল আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনের পর বের হয়ে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনোদিন কারও কোনো ক্ষতি করিনি বা ক্ষতি করার চেষ্টাও করিনি।’ তাহলে কেউ কি ভাবছে আপনি ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তো তাদের মাথার মধ্যে ঢুকিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আজ আদালতে এসে আমরা অপেক্ষা করছিলাম, তখন একজন বিদেশি এসেছেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। তিনি জানালেন, তার বাংলাদেশে ব্যবসা আছে। এটা বলে আমার কাছে নানা বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন। এই যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষও আমার কথা গ্রহণ করছেন। এই একটা লেভেলে আমরা আসতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও কাজ করতে পারতাম যদি না এসব টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়তাম। তারপরও জীবনে ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি। শেষ বয়সে এসেও আরও করতে চেয়েছিলাম, তবে সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমাকে নানাভাবে টানাহেঁচড়ার মধ্যে রাখা হচ্ছে। নতুন কিছু করতে পারলে অন্য দেশের মানুষরা বলত, এটা বাংলাদেশ থেকে আমরা শিখেছি। সেই সুযোগটা হলো না, এটাই দুঃখের বিষয়। এই দুঃখ থেকে যেন আমি মুক্তি পেতে পারি, সে জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

গতকাল ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানির পর তাদের স্থায়ী জামিন না দিয়ে সময় বাড়ানোর আদেশ দেন বিচারক। গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা হলেন– প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান। আদালতে ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ১৬ এপ্রিল ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের সাজা দেন শ্রম আদালত।

সমকাল