এর জবাবে গভর্নর বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সুদহার বাজারভিত্তিক ও ডলারের দরে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সুদহার বাজারের ওপর ছাড়া হলেও এখনকার বাস্তবতায় তা ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না। এখন আর এসব নীতির পরিবর্তন হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার ডেপুটি গভর্নর উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বিনিময় হারে ‘ক্রলিং পেগ’ নীতির মাধ্যমে ডলারের মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো এক টাকা এদিক সেদিক করতে পারবে। এখন এই দরেই যেন ব্যবসায়ীরা ডলার পান। কেননা এতদিন ১১০ টাকা আনুষ্ঠানিক দর থাকলেও তাদের অনেক বেশি টাকায় কিনতে হয়েছে। এখনও যেন সেটা না হয়। এর জবাবে গভর্নর জানিয়েছেন, এখন সব ব্যাংকে একই দরে এলসি হবে। দরে খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না।
বৈঠক প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গভর্নর তাদের সব বক্তব্য শুনেছেন। এখন কী ব্যবস্থা নেন দেখা যাক। তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডলারের দর বাড়ানোর কারণে কোনো কোনো বড় গ্রুপ ৩০০- ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব গ্রুপ লোকসানে পড়েছে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ সূচির মাধ্যমে যেন এটা সমাধান করা হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে।
বারবার সুদহার পরিবর্তন, ডলারের বিনিময় হারের উঠানামার কারণে ব্যবসায়ীক নীতি নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। আমি ৯ শতাংশ সুদ হিসেব করে একটি প্রকল্প নিলাম। এখন যদি ১৪ শতাংশ সুদ দিতে হয় তাতো তো ক্ষতিগ্রস্ত হবোই।’
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার নীতি নিয়েছে- অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষায়িত অঞ্চলের বাইরে কারখানা করলে কোনো সহায়তা দেবে না। ফলে ব্যাংকগুলোও আর অর্থায়ন করবে না। এটা করলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেননা, ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কারখানা গড়ে উঠেছে। আবার এসব অঞ্চল তো প্রস্তুত হয়নি। এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আমীন হেলালী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনির হোসাইন, এমসিসিআইর সভাপতি কামরান টি. রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী।
samakal