গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতৃত্ব নিয়েছে। তারা চায় দল হিসেবে শুধু তারাই থাকবে। আর বাকিরা হবে সহযোগী সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রো বাংলার সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ‘একতরফাভাবে’ আয়োজিত নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গণসংযোগের আগে এই সমাবেশ করে। এরপর মঞ্চের নেতা–কর্মীরা কারওয়ান বাজার থেকে কাটাবন মোড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যান। এ সময় তাঁরা গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ ও বিরোধী দলের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা নির্বাচনের প্রায় দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রহসনের ক্ষণটা কেবল মঞ্চস্থ করা বাকি। যে নির্বাচনটাকে জনগণ ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে সরকার। দেশ নিয়ে এসব খেলা জনগণকে রুখে দিতে হবে। ভাগ–বাঁটোয়ারার এই একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে নিয়ে যাবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ।
আগামী শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড দেখানো এবং ‘ভোট ডাকাতির’ পাঁচ বছর ও ‘একতরফা ডামি’ নির্বাচনের প্রতিবাদে সমাবেশ ও গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ।
প্রথম আলো
