০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম
বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দর তলানিতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে তাদের জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৭৭.৫ বিলিয়ন ডলার (পাকিস্তানি রুপিতে প্রায় দু’হাজার ২০০ কোটি) ঋণ পরিশোধ করতে হবে চীন এবং সৌদি আরবকে।
ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিসের এক রিপোর্টে পাকিস্তানকে সতর্ক করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক সংঘাত এবং ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের কারণে পাকিস্তান আর্থিকভাবে জর্জরিত। ইউএসআইপি রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী তিন বছরে ঋণে জর্জরিত দেশটিকে চীনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ঋণদাতা এবং সৌদি আরবকে বড় অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। পাকিস্তানকে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৭৭.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট টাকার অঙ্কটি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএসআইপি। পাকিস্তান যদিও আশাবাদী, চীন ঋণ পরিশোধের সময় আবারও বাড়াবে।
এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আইএমএফের অনুদান ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুদান পেতে আইএমএফের সমস্ত শর্ত পূরণ করার যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক সরকার। পাকিস্তান ২০১৯ সালে আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যার মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হবে। যদিও পাকিস্তান এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই।