ঢাকা
রোহিঙ্গাদের আদি নিবাসে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে রাজি করানোর জন্য আসিয়ানের ওপর প্রভাব খাটানোর বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্ব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি মিয়ানমার যাতে নিজেদের জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতা বন্ধ করে তা নিয়েও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতা সংস্থাকে দিয়ে দেশটির ওপর চাপ দেওয়ার বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপপ্রশাসক ইসোবেল কোলম্যান এবং জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কর্ট টার্নারের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি তুলেছেন আব্দুল মোমেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তাঁদের এ বৈঠক হয়। রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ইসোবেল কোলম্যান ও স্কর্ট টার্নার পাঁচ দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় পরিচালিত চলতি বছরের তহবিল ‘যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায়’ (জেআরপি) ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করেন। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তিনি ইউএসএইডকে ধন্যবাদ জানান। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী অংশীদারত্ব প্রত্যাশা করেন তিনি।
মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউএসএআইডির উপপ্রশাসক ইসোবেল কোলম্যান। তিনি মনে করেন, ভাসানচরকে আরও উন্নত করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। ভাসানচরে মৌলিক শিক্ষা, জীবিকা, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নতি করার তাগিদ দেন তিনি।