www.somoyerkonthosor.com
সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক: বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীলতার জন্য একমাত্র দায়ী সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী (অ্যাডভোকেট ইশরাতুন্নেছা কাদের)। সেতুমন্ত্রীর ওপর তার স্ত্রী প্রভাব খাটাচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনী এমপি নিজাম হাজারী ও তাদের সহযোগীরা।আজ রোববার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘নুরুল করিম জুয়েল ঢাকায় বসে এখানকার সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করছে আমাকে হত্যা করার জন্য। সেদিনের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। আমার কয়েকজন কর্মী এখনো মৃত্যুর সাথে লড়ছে। কেউ কোনো খবর রাখেনি। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী আহতদের দেখতে গেছে এবং খোঁজ-খবর রাখছে।’
আবদুল কাদের মির্জাকে জড়িয়ে আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ তিনি বলেন, ‘যত ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আপনারা করেন জনগণের হৃদয় থেকে আমাকে কখনো সরাতে পারবেন না।’
মামলায় ছেলে তাসিক মির্জাকে আসামি করার বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছেলেটা (তাসিক মির্জা) ঢাকাতে আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। তার পরীক্ষা চলছে, সে ঢাকায়। তাকেও এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। নেত্রী বিষয়টা দেখবেন বলেছেন। কিন্তু আজকে তাকেও আসামি করা হয়েছে।’
শরীরে এক ফোটা রক্তবিন্দু থাকাবস্থায় সত্য কথা বলে যাবেন জানিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘তুমি গোলাপ ভরা ফুলদানি ভেঙে ফেলতে পার, কিন্তু বাতাস থেকে কখনো গোলাপের গন্ধ মুছে ফেলতে পারবে না। আমাকেও জনগণের হৃদয় থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা মুছে ফেলতে পারবে না।’