বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ের শেষটা চলে এসেছে। কনকাকাফ অঞ্চলে আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি দলগুলোর। একটু এদিক-ওদিক হলেই বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে দলগুলোর। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে চারে আছে কোস্টারিকা। রাশিয়ার পর কাতার বিশ্বকাপেও জায়গা পেতে চাইলে এ অবস্থান খোয়ানো চলবে না দলটির। সেরা তিনে থাকলে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট মিলবে। আর চারে থাকলে থাকবে প্লে-অফ খেলার সুযোগ।
পরশু শীর্ষে থাকা কানাডাকে হারিয়ে আশা জাগিয়েছেন কেইলর নাভাসরা। কোস্টারিকান গোলকিপার এখন বাছাইপর্ব নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যেও মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখানোয় কোনো কমতি নেই তাঁর। পিএসজিতে খেলার সুবাদে প্যারিসে এক বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন নাভাস। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা নিজের ঘরে ৩০ জন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। রাশিয়ার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়েছে তারা।
আমি সবাইকে তা জানাতে চাচ্ছি। কারণ, এত তীব্র কষ্টের মধ্যেও যেন তারা ভালোবাসা টের পায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত জানিয়েছে, পোল্যান্ডের ক্রাকোতে গিয়ে শরণার্থীদের খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বার্সেলোনার রাশিয়ার জিপসিদের একটি সংগঠন। সম্ভব হলে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ারও পরিকল্পনা এই সংগঠনের।
তাদের এই পরিকল্পনা জেনে ৩০ জন শরণার্থীকে নিজের বাসায় আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছে নাভাস ও তাঁর স্ত্রী আন্দ্রেয়া সালাস। স্পোর্ত আরও জানিয়েছে, ৩০টি বিছানা কিনে সেগুলো নাভাস তাঁর সিনেমাকক্ষে রেখেছেন। তাঁর স্ত্রী তাঁদের খাবার রান্না করে খাওয়াচ্ছেন। তাঁদের পোশাক কিনে দিয়েছেন।
নাভাসের স্ত্রী আন্দ্রেয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের নাগরিকদের সাহায্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য খাদ্য, পানি ও পোশাক সরবরাহ করার অনুরোধ করেছেন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, ‘দানের হাত কখনো ফুরোয় না।’
সে সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘আপনারা চাইলে এই শিশুদের সাহায্য করতে পারেন, অনেকের সঙ্গে তাদের মা আছে। অনেকেরই তা–ও নেই। ছোট ছোট মানুষ একা একা অন্য দেশে এসেছে শুধু গায়ের পোশাকটা নিয়ে। কারণ, শুধু তা নেওয়ারই সুযোগ ছিল। আমরা তাদের অপচনশীল খাবার, পোশাক ও ব্যক্তিগত জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আমি সবাইকে তা জানাতে চাচ্ছি। কারণ, এত তীব্র কষ্টের মধ্যেও যেন তারা ভালোবাসা টের পায়।’