জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণ অধিকার পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও অনুগত ব্যক্তিদের নবগঠিত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্ববধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের উপকমিটির আদলে সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। সার্চ কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেনি, যা তাদের কাজের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে।
নুরুল হক আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ, পদোন্নতি নিয়ে বিতর্কসহ অসদাচরণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বিতর্কিত নূরুল হুদা কমিশনের সচিব ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান অবসরের পরও সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানও সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে সদ্য অবসরে যাওয়া একজন সচিব।
এ সময় নুরুল আরও বলেন, সার্চ কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ ছিল, সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও সদ্য অবসরে যাওয়া কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের পাঁচজনই সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী।
গণ অধিকার পরিষদ বলছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন না মানাসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।