পরকালে সবার আগে বিচারকদের জবাবদিহি করতে হবে : মির্জা আব্বাস

  • অনলাইন প্রতিবেদক
  •  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:০৬

কথা বলছেন মির্জা আব্বাস – ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, পুলিশের সকল সদস্যই ভালো নেই। একশ্রেণির পুলিশ ভালো আছে। জজ সাহেবরা দলীয় ভাষায় কথা বলছেন। যেটা জনগণ আশা করে না। আমরা যারা মুসলমান, তারা বিশ্বাস করি, পরকালে প্রথম জবাবদিহি করতে হবে বিচারকদের। তারপর আমরা যারা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিলাম তাদের। কারণ, আমাদের প্রতিই জনগণের বেশি আস্থা, সে আস্থা আমরা নষ্ট করতে পারি না।

তিনি বলেন, মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন মানুষ কোর্টে যায়। আর সেখানে যদি ছায়া না পায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় ঢাকা মহানগর ৪ এবং ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

আব্বাস বলেন, মশা নিধনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন সিঙ্গাপুর থেকে ভেজালমুক্ত ওষুধ এনেছিলাম। সে ওষুধ নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। মশা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর আজ মশা নিয়ন্ত্রণ করতে কামান ব্যবহার করা হচ্ছে, শুধু অর্থ লুট করার জন্য।

তিনি বলেন, একসময় বলা হয়েছিলো ভাতে মারবো, পানিতে মারবো। আর এখন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে মানুষ মারার পায়তারা চলছে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন মানুষ নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবে না।

তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার যুবককে গুম করা হয়েছে। আমার সামনে আমার বন্ধু বাবুলকে তুলে নেয়া হলো, আর তার হদিস পাওয়া যায়নি। আজকের আওয়ামী লীগও তা করছে। শুধু বিএনপি করার অপরাধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই রেহাই নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে ডিসি (জেলা প্রশাসক) সরাসরি নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। সারাদেশেই দলীয় লোকদের প্রশাসনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই প্রসাশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নতুবা এ দেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মানবে না।

তিনি বলেন, আজ ক্ষমতাসীনরা মাঠ-ঘাট সব দখল করছে। সকল অনাচার অবিচারের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়াতে হবে। এই দখলবাজ, লুটেরা সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।