- by নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর ‘লাপাত্তা’ হওয়ার ঘটনা বহুল আলোচিত ও রহস্যজনক একটি বিষয়। ১/১১ এর পর থেকে টানা ১৪ বছর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে লন্ডন প্রবাসী কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী জানান, করোনাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার বাবা। ঢাকার বাইরে দাফনের কথা বললেও সেটা কোথায়- তা প্রকাশ করেননি তিনি।
এমতাবস্থায় হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে কি না- তা জানতে চেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ থাকায় সম্প্রতি এই চিঠি দেয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন, ইন্টারপোল। নোটিশ প্রত্যাহার করতে হলে মৃত্যুর প্রমাণ প্রয়োজন বলে জানায় সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই বছরের ২৯ অক্টোবর তাকে ৭ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।