রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে

সময় নিউজ | সময়ের প্রয়োজনে সময়

পাবনায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে আরও একটি চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে ‘এমভি আনকা স্কাই’ নামে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজটি নোঙর করেছে মোংলা বন্দরে। ছবি: সময় সংবাদ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে ‘এমভি আনকা স্কাই’ নামে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজটি নোঙর করেছে মোংলা বন্দরে। ছবি: সময় সংবাদ

হাসান মাহমুদ

 ‘এমভি আনকা স্কাই’ নামে জাহাজটি সোমবার (২৯ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। এবারের চালানে এক হাজার ১৪৯ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য রয়েছে।

দুপুর ২টার  (B-শিফট) পালা থেকে পণ্য খালাস শুরু করবে শ্রমিক ও পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরু এন্ড সন্স কোম্পানি-এর প্রতিনিধিরা। আগামী ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য বন্দর জেটিতে খালাস শেষে দ্রুত সড়ক পথে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং-এর প্রতিনিধি সাধন কুমার।

এবারের চালানে ৩৩৯ প্যাকেজে ১ হাজার ১৪৯.২৭৯ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য রয়েছে। ভ্যানুয়াটি পতাকাবাহী এমভি আনকা স্কাই জাহাজটি এসব পণ্য নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল রাশিয়ার নোভরোস্কি বন্দর ছেড়ে আসে। জাহাজটি দীর্ঘ নৌপথ পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে এক মাস এক দিন সময় লেগেছে।

এর আগে, গত ৬ মে দুপুর ১২টার দিকে ৬৩০ প্যাকেজে ১ হাজার ৬২৭.৯০৪ মেট্রিকটন পণ্য মোংলা বন্দরে খালাস করেছে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি আনকা সান’।

এ পর্যন্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতিবোঝাই ৪৯টি বিদেশি জাহাজে মোট ৮২ হাজার ৫ মেট্রিক টন পণ্য মোংলা বন্দরে খালাস করা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে এবং তারা এ বন্দরকেই বেছে নিয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহার করায় তাদের অর্থ এবং সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। মোংলা বন্দরের তুলনায় অন্যান্য বন্দরের দূরত্ব অনেক বেশি। তাই দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের পণ্য এখন এ বন্দর দিয়ে খালাস করা হচ্ছে। 
 

‘এছাড়া আমদানিকারক ও রফতানিকারকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে সব সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত থাকেন। এ বন্দরকে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরিত করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’