ফিরে এসে তিন ফরম্যাটেই খেলবে সাকিব, আশা বিসিবি’র
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মার্চ ২০২২
টেস্ট খেলতে অনীহা তার পুরোনো। বিভিন্ন সফরে ইতোমধ্যে তিনি যাননি নানা কারণ দেখিয়ে। তারপরও সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেটের তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের প্রত্যাশা আগামী এক বছর সাকিব ফ্রেশ হয়ে এসে আরো ভালো পারফরম্যান্স দেবে দেশের জন্য। কিন্তু আদৌ তা কতটা হবে তা নিয়ে থাকছে সংশয়।
গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সফরে সাকিব যাননি পারিবারিক কারণে ছুটি পাওয়ায়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন না শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলার মতো অবস্থায় না থাকায়। গত বছর শ্রীলঙ্কাতেও টেস্ট সফরে যাননি তিনি।
শুক্রবার সকালে নির্বাচক মণ্ডলীর প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, ‘বোর্ড ওকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম দিয়েছে। এরপর থেকে ওকে পাওয়া যাবে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে তিন সংস্করণেই ওকে পাওয়া যাবে। খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বড় মাপের, বিশ্বেরসেরা অলরাউন্ডারদের একজন। সেই হিসেবে ওর কাছ থেকে সেরাটাই আমরা চাই, যখনই ওকে পাব। সেজন্য ওকে তিন সংস্করণেই রাখা হয়েছে, যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী এক বছর আমরা সাকিবের কাছ থেকে আরো ভালো পারফরম্যান্স চাচ্ছি। ২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। সে হিসেবে আমাদের অনেক খেলোয়াড় লাগবে। সেরা খেলোয়াড়কে আমরা সবসময়ই তিন ফরম্যাটে চাই। আশা করছি রিফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে তিন ফরম্যাটেই খেলবে।’
নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক যোগ করলেন প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা। তিনি বলেন, ‘কেউ দু’-একটি সিরিজ বিশ্রাম নিলেই যে তিন সংস্করণে রাখা যাবে না, তা তো নয়। প্রথমে কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড কথা বলেছে, কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তার পর বিবেচনা করা হয়েছে যে, কাকে কোন ফরম্যাটে রাখা যাবে। সাকিব কিন্তু কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব যে মাপের ক্রিকেটার, কোনো ফরম্যাট থেকে নিজে সরে না গেলে বোর্ডের জন্য সরিয়ে দেয়া কঠিন, কারণ যে মাপের পারফর্মার ও।’
‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেয়া কঠিন।’
দুবাই থেকে ফিরেছেন সাকিব। তার সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যৎ আরো স্পষ্ট করা হবে বলে জানালেন মিনহাজুল। তিনি বলেন, ‘আমরা এই তালিকা জমা দিয়েছি এক মাস আগে। বোর্ড তার পর অনুমোদন দিয়েছে। দুবাই থেকে সাকিব ফিরেছে, ওর সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা হবে।’
স্কোয়াড ঘোষণার পর কেউ যদি সরে যায়, বিষয়টি খারাপ লাগে কি-না কিংবা বিব্রতকর কি-না। তা স্বীকার করলেন নান্নু, ‘অবশ্যই (খারাপ লাগে), কারণ এখানে একটা পরিকল্পনা অবশ্যই থাকে। নির্বাচকরা ও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে পরিকল্পনা করে দল দেয়া হয়। এরপর বোর্ডও অনুমোদন দেয়। না যাওয়াটা অবশ্যই ব্যাকফায়ারের মতো হয়। কাউকে তো জোর করে খেলানো যায় না।’
তাহলে তামিম কেন নয়? ৬ মাস পর তো টি-টোয়েন্টিতে ফিরবে সেও।
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে – যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন… তামিম যদি ঐ ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভুক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।’