বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রেশন কার্ড দেওয়ার কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাসুদ ওই উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের মৃত মোছলেম আলী মোল্লার ছেলে এবং সুজনকাঠী মসজিদ বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। মাসুদ এক ছেলে নিয়ে বাড়িতে থাকলেও তার স্ত্রী বর্তমানে ইতালি রয়েছেন।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে বলেন, একই এলাকার ওই দরিদ্র ছাত্রীর মায়ের নামে সরকারি রেশন কার্ড করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বুধবার রাতে তার বাড়িতে ডেকে নেন মাসুদ। ওইদিন রাতে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে তার মা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ মাসুদের বাড়ি যান। মায়ের সঙ্গে কথা শেষে তার মেয়ের সঙ্গে আলাদা কথা আছে বলে মাকে বসিয়ে রেখে মাসুদ ওই ছাত্রীকে তার নিজের শয়ন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন মাসুদ। হুমকি ধমকির কারণে শিক্ষার্থী ওই রাতে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানালেও পরদিন তার মাকে সব বলে দেয়। মেয়ের মুখে ধর্ষণের ঘটনা জেনে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাসুদ মোল্লাকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাসুদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।