- by ২৪ ডেস্ক
-
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। ২০১০ সালের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম এ ধরনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ৩৩তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণকারী আমনা বালুচ এই বৈঠকে যোগ দিতে আজ বুধবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসলামাবাদ বাংলাদেশের সঙ্গে এই আলোচনা আয়োজনে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী আসছেন, তাই পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা হবে।’
সাম্প্রতিক বিভিন্ন আলোচনায় উভয় পক্ষ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে পণ্য-নির্দিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আসন্ন এফওসি এবং পরবর্তী আলোচনাগুলোতে পর্যটন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উভয় পক্ষ সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোকেও স্মরণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিসেম্বর ২০২৪-এ কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে এবং সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ নিউইয়র্কে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা।
এছাড়া, অক্টোবর ২০২৪-এ সামোয়ার আপিয়াতে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) সাইডলাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যেকার বৈঠকটিও তারা স্মরণ করেছে।