বৃহস্পতিবার নীলফামারী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলী আদালত-১-এ মামলা দায়ের করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদ, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইয়াহিয়া আবিদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুল হাসান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক রাশেল আমিন স্বপন উল্লেখ্যযোগ্য আসামি রয়েছেন। এছাড়াও এই মামলায় নীলফামারী সদর থানার সাবেক পরির্দশক (ওসি) মো. তানভিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রিনো মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন কবীর এজাহারটি গ্রহণ করে সদর থানার ওসিকে মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হয় ছাত্র-জনতা। উক্ত আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সমবেত হতে থাকে। বেলা ২টার দিকে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদের অপব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাস্তায় নামার সুযোগ করে দেয়।
এ সময় সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদের অপব্যবহারে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্র-জনতার অনেকে আহত হন। এরপর আসামিরা জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিকদলের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এতে করে আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে অপরাধের নমুনা ধ্বংস করতে সব ভাঙ্গা আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা জেলা শহরের শাহাদাত হোসেন সরকারের দোকান, জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার ও সহসভাপতি মীর সেলিম ফারুকের বাড়ি ও সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম তমু এবং জেলা বিএনপির সদস্য শহীদ জাহাঙ্গীর আলম স্বপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
samakal