24 March 2020
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক নিজেই করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন কিনা প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবি ও সমাজকর্মী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) হোমকোয়ারেন্টাইনে হবিগঞ্জে নিজের বাড়িতে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ প্রশ্ন ছুড়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি আবারো পদত্যাগ করছি। একটাই মাত্র চাকরি ছিলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবি ছিলাম। পদত্যাগ করেছি। আর কোনো চাকরি নাই। তাও পদত্যাগ করতে চাই। বলতে চাই ব্যার্থ হলে পদত্যাগ করতে হয়।
সুমন বলেন, পৃথিবী থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না ৫দিন ধরে। দু’চার কথা তাও বলতে চাই। করোনার এ ক্রাইসিস সময়ে কথা বলতে চাই মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে।
দেশে ডেঙ্গু হওয়ার সময় উনি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন পরিবার নিয়ে। উনি পরে জন-মানুষের চাপে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। উনি সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি করোনা আসার পরে আড়াই মাস সময় পেয়েছেন কিন্তু কোনো প্রস্তুতি নিতে পারেননি।
উনি সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে উনি করোনার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে নিজে পেছনে ৩৭জন মানুষকে নিয়ে সচেতন করতে গেছেন। মানে করোনার ব্যাপারে কমনসেন্স ব্যাপারটা উনার নাই।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবিলায় যে যুদ্ধ তাতে আমরা জজ ব্যারিস্টাররা কিন্তু সৈনিক না। এটার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছেন তারা হলেন; ডাক্তার, নার্স, ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনওসহ যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। তাদের বক্তব্য হলো তাদের প্রযোজনীয় প্রটেক্টিভ সরঞ্জাম পাচ্ছেন না।
আমার কথা হলো সৈনিকদের যদি অস্ত্র দিতে না পারেন যুদ্ধ করবে কে? তারপর ও কথা হলো ব্যার্থ হলে পদত্যাগ করা লাগবে না। এইদেশে কোনোভাবে যদি একটা চাকরী পেতে পারেন যতোরকম বেইজ্জতি হন চাকরী পদত্যাগ করা লাগবে না।
সারা বিশ্ব যখন লাশ গণনায় ব্যাস্ত; আমাদের নির্বাচন কমিশন তখন ভোট গণনায় ব্যাস্ত। সাদুল্যাপুরে যে করোনআক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে সেখানে দুজন প্রবাসী ভোট দিয়েছেন। এই ভোট দেওয়ার কারণে আরো ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের কোনো দোষ নাই। উনারা মনে করেন, কনস্টিটিউশনাল কোস্টে আছেন।
যে জায়গায় গেছেন, উনারা রীতিমতো আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। উনাদের আরে কোনো বদনাম সমালোচনা করা যাবে না। রিজাইন তো প্রশ্নই আসে না। যারা ইউএনও, ডাক্তার, ম্যাজিস্টেট তাদের প্রটেক্টিভের ব্যবস্থা করেন। যারা মন্ত্রীরা আছেন আবল-তাবল কথা বলতেছেন; আপনারা তো চলে যাবে, পালাবেন। পুরো দোষ দিবেন নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর।
আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে বলছি, এইসব জিনিস দিয়ে চাষাবাদ হবে না। এখনো সময় আছে এদেরকে বদলি করেন। আপনার কাছে আরো কোয়ালিফায়েড বিকল্প আছে। যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের দায়িত্ব দেন। দুৎসময়ে তাদেরকে দায়িত্ব দেন। যেদশটা অন্তত যেখানেই হোক ধ্বংস্তুপ থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।
সুমন আক্ষেপ করে বলেন, একটা কথা বলতে চাই। মনে রাখবেন, এটা আমার কথা না; এটা ইতিহাসের কথা। ছাগল দিয়ে কখনো হাল চাষ হয় না। এজন্য ছাগল বাদ দিয়ে প্রকৃত জিনিস আনেন হাল চাষের জন্য।