বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের উইকেট বেশির ভাগ সময়ই স্পিনবান্ধব হয়। সেটা নিউজিল্যান্ড ভালো করে জানে। বাংলাদেশের উইকেট সম্পর্কেও তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিটা সমৃদ্ধ। তাই তো এবার সেভাবেই একাদশ সাজাতে চায় তারা। এর মধ্যে স্কোয়াড দেখেও তেমনটা অনুমান করা যাচ্ছে। সেটা হলো স্পিন আক্রমণ। যেখানে স্পেশাল ক্যাটেগরিতে আছেন ইশ সোধি, মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেল। তাদের সঙ্গে রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপসও দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেন। তাই কিউইদের টার্গেট এই স্পিন অস্ত্রে বাংলাদেশকে ঘায়েল করা।
২৮ নভেম্বর থেকে সিলেটে শুরু দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। তার আগে গতকাল সিলেটে অনুশীলন শেষে নিজেদের পরিকল্পনা এবং স্পিন আক্রমণের এপিট-ওপিঠ তুলে ধরেন তরুণ রাচিন, ‘আমাদের শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ আছে, জেজি (এজাজ প্যাটেল), স্যান্টনার, ইশ (সোধি) ও জিপি (গ্লেন ফিলিপস) আছে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করব এবং সোধি ও জেজির এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে অনেক এবং তারা জানে এখানে কী করলে ভালো হবে। কিন্তু আমি আমার মতো করে চেষ্টা করব। প্রত্যেকেই ভিন্ন রকমের বোলার। এটা স্পিন আক্রমণের ভারসাম্য বাড়িয়েছে।’
এর আগে ২০২১ সালে সিলেটে টেস্ট খেলেছিলেন রাচিন। সেই অভিজ্ঞতাটা এবার কাজে লাগাতে চান তিনি। তা ছাড়া উইকেট দেখে তাঁর এমনও মনে হয়েছে, ব্যাটারদের পরীক্ষাটাই হবে কঠিন, ‘২০২১ সালে এখানের উইকেট আকর্ষণীয় ছিল। আমার মনে হয়, এখানে ব্যাট করা কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু বল করা দারুণ ব্যাপার হবে। স্পিনাররা আরেকটু বেশি পেস পাবে। স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পাবে, তাই জায়গা মতো বল করতে হবে এবং এর সঙ্গে গতি কাজে লাগাতে পারলে সাফল্য পাওয়া যাবে।’
নিউজিল্যান্ড দলের স্পিন কোচের দায়িত্ব এখন সাকলাইন মুস্তাকের কাঁধে। তাঁর অধীনে কাজ করে রাচিনরা খুবই সন্তুষ্ট। ব্যক্তিগতভাবেও সাবেক এই পাকিস্তানির সঙ্গে রাচিনের বোঝাপড়া দারুণ, ‘সাকলাইন অনেক বড় মাপের কোচ। আমি তাঁর সঙ্গে অল্প কিছু সময় কাটিয়েছি। গত এপ্রিল-মেতে পাকিস্তান সিরিজের আগে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি এবং তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। শুধু আমি নয়, গ্রুপের সব স্পিনারই তাঁর কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে। তাঁর সঙ্গে আবারও কাজ করতে পেরে দারুণ আনন্দিত আমি। তাঁর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, বোলিং নিয়েও, জীবন নিয়েও।’