সেদিনের প্রভাবশালীরা যখন কাঠগড়ায়

তারা ছিলেন বিগত সরকারের প্রতাপশালী। তাদের ঘিরে থাকত নেতাকর্মী, তদবিরকারী আর থাকত নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারা বিচারের মুখোমুখি। এখনো তাদের থাকতে হয় নিরাপত্তার ভেতর। তবে, সেটি ভিন্ন আঙ্গিকে, আসামি হিসেবে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে নির্বিচার গুলিতে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। আসামি করা হয়েছে সেই সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও দলটির শীর্ষ নেতাদের। এর ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজির করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের এই প্রভাবশালীদের। এদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের শরীক ১৪ দলীয় জোটের দুজন শীর্ষ নেতা, অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি ও সাবেক এক আমলাকেও হাজির করা হয় এজলাসে।

তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, একই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহমেদ পলক, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

তবে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাককে সোমবার হাজির করার কথা থাকলেও অন্য একটি মামলায় তিনি পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে থাকায় তাকে হাজির করা হয়নি। গত ১৭ অক্টোবর এই ১৪ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিল বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যার ধারাবাহিকতায় তাদের হাজির করা হলো। সোমবার ট্রাইব্যুনাল তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে একমাস পর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এ সরকার জুলাই- আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে বিচার শুরুর উদ্যোগ নেয়। বিচারকাজের অংশ হিসেবে এই প্রথম আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটি শিগগির সংশোধন হচ্ছে। এ সংশোধনের পর গণহত্যার অভিযোগের আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ (অভিযোগ দাখিল ও গঠন, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্কের শুনানি) শুরু হবে।

যেভাবে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো আসামিদের

গণহত্যার মামলার ১৩ জনের হাজিরাকে কেন্দ্র করে আজ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ৯টা থেকে ট্রাইব্যুনালের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহে আসা সংবাদকর্মী ও চিত্র গ্রাহকদের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে, বিশেষ পাশ ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনালের ভেতরে তখন ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা।

সকাল পৌনে দশটার দিকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় গোলাম দস্তগীর গাজীকে। হেলমেট ও ভেস্ট পরিহিত গোলাম দস্তগীরকে প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। এর একটু পর ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আরেকটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় দীপু মনিকে। হালকা ছাই রঙা শাড়ি পরিহিত দীপু মনিকে তখন ঘিরে থাকে পুলিশ। তাকেও পাঠানো হয় হয় হাজতখানায়। এরপর ৯টা ৫৮ মিনিটে আরেকটি প্রিজন ভ্যান আসে ট্রাইব্যুনাল অঙ্গনে। এই ভ্যানে ছিলেন ১১ জন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যান থেকে প্রথমে নেমে আসেন ফারুক খান। এরপর পর্যায়ক্রমে শাহজাহান খান, আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, হাসানুল হক ইনু, কামাল আহমেদ মজুমদার, সালমান এফ রহমান, তৌফিক- ই- ইলাহী চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম ও জুনাইদ আহমেদ পলক ভ্যান থেকে নেমে আসেন। তাদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় ১৩ জনকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় সবাই ছিলেন বিমর্ষ।

এজলাসে যা হলো

সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে একে একে সবাইকে তোলা হয় কাঠগড়ায়। প্রথমে কাঠগড়ায় তোলা হয় তৌফিক- ই- ইলাহী চৌধুরীকে। এরপর একে একে সবাই ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকেই রক্ষিত চেয়ারে বসেন। তবে, দীপু মনিকে বসতে দেওয়া হয় কাঠগড়ার বাম পাশে রাখা একটি চেয়ারে। এ সময় তিনি ছিলেন কিছুটা হাস্যোজ্জ্বল। ওপরে সাদা কাঁচ ও নিচে কাঠের রেলিং দেওয়া কাঠগড়ায় সামনের সারির চেয়ারে ছিলেন শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, রাশেদ খান মেনন, ফারুক খান, আনিসুল হক ও তৌফিক- ই- ইলাহী চৌধুরী। পিছনের সারির চেয়ারে বসেছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সালমান এফ রহমান, গাজী গোলাম দস্তগীর ও হাসানুল হক ইনু।

একপর্যায়ে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এহসানুল হক সমাজীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, ফারুক খানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক শুনানির আগে একাধিকবার চেয়ার থেকে উঠে এজলাসের চারপাশ দেখতে থাকেন। অন্যরা সবাই ছিলেন নির্বিকার ও বিমর্ষ।

বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে এজলাস আইনজীবী ও সংবাদকর্মীতে পূর্ণ হয়ে যায়। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে ডিফেন্স ল’ ইয়ার (আসামিপক্ষ) হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। আমরা জানতে পেরেছি তিনি (সমাজী) রাষ্ট্রীয় একটি পদে আসতে পারেন। এখন তিনি যদি আসামিপক্ষে সাবমিশন রাখেন সেটি হবে ‘করফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। এই পরিস্থিতিতে আমরা চাইবো তিনি যেন শুনানি না করেন।

এরপর এহসানুল হক সমাজী ডায়াসের সামনে দাড়িয়ে বলেন, আমি এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি। কি পদে নিয়োগ সে বিষয়েও আমার কোনো ধারণা নেই। তবে, এই মুহুর্তে শুনানি করে কোনো বিতর্ক তৈরি হোক আমি চাই না। আদালত তখন সমাজীর কাছে জানতে চান তিনি কার পক্ষে শুনানি করতে এসেছেন। জবাবে সমাজী আনিসুল হক, তৌফিক- ই- এলাহী, ফারুক খানসহ পাঁচজনের নাম বলেন।

একপর্যায়ে শুনানি থেকে বিরত থাকেন এহসানুল হক সমাজী। তবে, অপর আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু তৌফিক- ই- এলাহী চৌধুরী ও ফারুক খানের পক্ষে শুনানি করতে চান। কিন্তু অভিযোগের অনুলিপি না থাকায় তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ সময় আদালত এই আইনজীবীকে অভিযোগের অনুলিপি সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

‘চিফ প্রসিকিউটর বনাম ওবায়দুল কাদের ও অন্যান্য’ শিরোনামে কার্যতালিকায় থাকা দ্বিতীয় মামলাটি ছিল এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে। চিফ প্রসিকিউটর এ মামলার শুনানিতে বলেন, এই মামলার মোট আসামি ১৪ জন। তবে, একজন আসামি (আব্দুর রাজ্জাক) অন্য একটি মামলায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাকে হাজির করা যায়নি। অন্য মামলায় হেফাজতে থাকলেও তাকে এ মামলায় যেন হাজির করা যায় সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে আরজি জানান তিনি।

একপর্যায়ে তিনি মামলার নথি থেকে অপরাধের বিবরণ তুলে ধরে ওই সময়ে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের কার কী ভূমিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাদের বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৬ বছরে শেখ হাসিনা ও তার সরকার এমন কোনও মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যা করেননি। এই আসামিরা সক্রিয়ভাবে তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। সেসব অপরাধে সহযোগিতা করে গেছেন। গণহত্যার পরেও আসামিদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা ছিল না। একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে তারা এসব গণহত্যায় প্ররোচনা ও সমর্থন দিয়েছেন।’

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এ সময় আসামিদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন দায়) অভিযোগ করেন। শুনানি নিয়ে আদালত এই আসামিদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর ধার্য করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার শুনানির পর ১৩ জনকে সাড়ে ১২টার দিকে আবারও ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ভি চিহ্ন দেখালেন পলক, হাত নাড়লেন ইনু

দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আসামিদের আবারও কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় গোলাম দস্তগীর গাজীকে। এরপর আরেকটি ভ্যানে দীপু মনিকে তোলা হয়। এরপর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে আরেকটি ভ্যানে তোলা হয় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, ফারুক খানসহ ১১ জনকে। ভ্যানে উঠার সময় নীল সোয়েটার পরিহিত জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। একপর্যায়ে দোয়া চান তিনি। এছাড়া হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাসানুল হক ইনু হাত নাড়েন।

গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তকাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল আজ এ আদেশ দেন। বেলা ১১টার কিছু পরে শেখ হাসিনার মামলার শুনানি শুরু হয়। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ এর আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে প্রহসন, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যা, ১ হাজার ১১৯ জনকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও আয়নাঘর তৈরি, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার, শেয়ারবাজার লুট, বিরোধী মতবাদকারীকে রাজাকার ট্যাগ দিয়ে দেশের মানুষকে পৃথক করা, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে গণহত্যা চালানো, হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ পোড়ানো, চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ আনেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার সময় জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট বন্ধ করা, টেলিভিশনের টকশোতে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে গণহত্যায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনেন।

শুনানির এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান চিফ প্রসিকিউটরকে প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার ওয়ারেন্টের (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) বিষয়ে কি করলেন? জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের বাইরে আছেন। তাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের আরজি জানানো হয়েছে। এছাড়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণের যে চুক্তি আছে, সেই চুক্তির আলোকে তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টির প্রক্রিয়া চলমান। বিচারকাজ শুরু করতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দুই মাস সময়ের আরজি জানান। ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিদের আদালতে হাজিরের নির্দেশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. মিনহাজ দেশ রূপন্তরকে বলেন, সাধারণ সময়ের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সিটি এসবি ও এপিবিএন মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তার কোনও শঙ্কা ছিল না। আসামিরা কোর্টে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় আমরা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছি।

উৎসঃ   দেশ রূপান্তর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here