যশোরের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের হত্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিল্লির উগ্রতা আর ঢাকার নীরবতা এসব হত্যাকাণ্ডকে আশকারা দিচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সীমান্তে বিজিবি সদস্যের নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। দলটি এ ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে।
আজ শনিবার দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি বলেছে, ‘সীমান্তে এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার একটি আধিপত্যবাদী বার্তা। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। এত দিন সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, এখন বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই।’
প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নিহত হন। বিজিবির এই সদস্যর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফের দেওয়া বক্তব্যকেও অগ্রহণযোগ্য বলেছে বিএনপি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম মনে করে, একটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এর সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।
দলটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘ক্ষমতাসীনদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে।’
বিএনপি অভিযোগ করেছে, দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ।
বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। দলটি বলেছে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তাদের নীতিনির্ধারকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জিত হয়নি। সে জন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে তারা কোন দায়বোধ করে না। ফেলানীসহ সীমান্তে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো বিচার বা প্রতিকার করেনি।
prothom alo