জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী আইনকানুন আছে, কিন্তু ইলেকশনের নামে সিলেকশন হচ্ছে। বর্তমান বাস্তবতায় কেউ চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইংরেজি ডিকশনারিতে নির্বাচন কথাটার দু’টো অর্থ হলো- সিলেকশন ও ইলেকশন। আমরা সিলেকশন চাই না, ইলেকশন চাই।’ শনিবার বনানী কার্যালয়ে দলে যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, বর্তমান পদ্ধতি এগিয়ে নেওয়াকে গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়া বলা যায় না। সরকার বা নেতা পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু তাতে সমাজে ও অর্থনীতিতে প্রভাব না পড়াই হচ্ছে স্থিতিশীলতা। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানসহ অনেক দেশে সরকার পরিবর্তনে সমাজ ও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে না।
জি এম কাদের আবারও অভিযোগ করে বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট চলছে।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, শ্রমিকরা রাস্তায় নামলেই নাশকতাকারী? তাদের দেখভালের দায়িত্ব কার?
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সরকার নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। কয়েক দিনের উপনির্বাচনেও এখন সরকারকে সিল মারতে হয়। বর্তমান ব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, বৈধতা দেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতেও নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া মানে, হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটা।
জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মুহাম্মহদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ খান ও শহীদুল ইসলাম ম্লোলর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক আইনজীবী জাপায় যোগ দেন।