শহীদ জিয়ার জন্মশতবার্ষিকী : কী ভাবছে বিএনপি?

শহীদ জিয়ার জন্মশতবার্ষিকী : কী ভাবছে বিএনপি?

জিয়াউর রহমান – ফাইল ছবি

শিশুটি যে দিন ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সে দিন তাকে ঘিরে তার মহীয়সী মাতা-পিতার আদর আহ্লাদ বা স্বপ্ন কেমন ছিল তা আমরা হয়তো বলতে পারব না। আমরা এ কথাও বলতে পারব না যে, জন্মকালে বা শৈশবে তার যে ডাক নামটি দেয়া হয়েছিল তা কি ভেবেচিন্তে করা হয়েছিল, নাকি আবহমান বাংলার অন্যসব শিশুর মতোই তার নামটি রাখা হয়েছিল। তার জন্ম এবং শৈশবের নাম নিয়ে আমার কৌতূহলের প্রধান কারণ হলো শৈশবকাল থেকেই তার চিন্তাচেতনা এবং কর্ম যেমন অন্যদের মতো ছিল না, তেমনি তার স্বভাব চরিত্র যেভাবে তার শৈশবের নামটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল তা সচরাচর আমাদের সমাজে দেখা যায় না। তিনি খুব ছোটবেলা থেকেই দেশের কথা ভাবতেন এবং সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে মানবতার সেবায় কাজ করতেন। তার ডাক নাম কমলের মতোই তিনি ছিলেন প্রস্ফুটিত পদ্মফুলের এক বাস্তব রূপ। তার সৌম্যদর্শন মূর্তি, শান্তশিষ্ট স্বভাব, আলোকময় চোখ। বিনম্রতা এবং মৃদুভাষী বা কম কথা বলার অভ্যাসের সাথে তার শৈশবের ডাকনামটি যেভাবে একাকার হয়ে গেছে তা বাংলার অন্য কোনো কিংবদন্তির চরিত্রে দেখা যায় না।

তিনি জন্মেছিলেন ১৯৩৬ সালে এবং তার মৃত্যু হয়েছিল ১৯৮১ সালে। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যে মাত্র পঁয়তাল্লিশটি বছর। তার শৈশব-কৈশোর, শিক্ষা-দীক্ষা এবং কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য মাত্র সতেরোটি বছর ব্যয় হয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে তিনি ১৯৫৩ সালে পিএমএ অর্থাৎ পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির ১২তম লং কোর্সে যখন অংশগ্রহণ করেছিলেন তখন তার বয়সের সাথে পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজয়ী এক সেনাপতির বয়স হুবহু মিলে গিয়েছিল। সিন্ধু বিজয়ের মহানায়ক মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র সতেরো বছর বয়সে সিন্ধু ও মুলতান জয় করে ভারতবর্ষের দরজা মুসলমানদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন, যার ফলে পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রায় এক হাজার বছরব্যাপী মুসলমানদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল।