লজ্জার হারে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল কেকেআর

লজ্জার হারে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল কেকেআর – ছবি : সংগৃহীত

লজ্জার হারে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল কেকেআর

বিশ্রী ব্যাটিং। হতশ্রী বোলিং। সর্বোপরি টিম নিয়ে অত্যাধিক কাটাছেঁড়া। যার মাশুল গুণতে হলো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। শনিবার রাতে লখনউ সুপারজায়ান্টসের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল কেকেআর।

লখনউ সুপারজায়ান্টস, যে দলকে নাইটদেরই সাবেক অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর নিজের হাতে তৈরি করেছেন, সেই দলকে এদিন লড়াই-ই দিতে পারল না নাইটরা। কেকেআর হারল ৭৫ রানে।

পুণেতে শনিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম ওভারেই অনবদ্য রান আউট করে লখনউ অধিনায়ক কে এল রাহুলকে ফিরিয়ে দেন তিনি। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় লখনউ। কুইন্টন ডি’কক এবং দীপক হুডা নাইট বোলারদের উত্তম-মধ্যম পেটানো শুরু করেন। মাত্র ২৯ বলে ৫০ করেন ডি’কক। হুডা করেন ২৭ বলে ৪১ রান। একটা সময় মনে হচ্ছিল লখনউ বিরাট বড় ইনিংস গড়তে চলেছে। মাঝের ওভারগুলোতে রাসেল এবং নারিন কিছুটা ম্যাচে ফেরায় নাইটদের। কিন্তু শেষদিকে মাত্র ১৪ বলে ২৮ রান করে স্টয়নিস লখনউকে ১৭৬ রানে পৌঁছে দেন। ১৯ তম ওভারে কেকেআরের ৮ কোটির বোলার মাভি ৩০ রান না দিলে হয়তো এত রানে পৌঁছাতে পারত না লখনউ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল নাইটরা। শুরুতেই শূন্যতে ফেরেন বাবা ইন্দ্রজিত। শ্রেয়স আইয়ার, অ্যারন ফিঞ্চও দ্রুত প্যাভিলিয়নের রাস্তা মাপেন। ব্যতিক্রম নন নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিংও। একমাত্র আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। রাসেল করেন ১৯ বলে ৪৫ রান। ১২ বলে ২২ রান করেন নারিন। আর কোনো ব্যাটার সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি। মাত্র ১৪ ওভার ৩ বলে ১০১ রানে এদিন অল-আউট হয়ে যায় কেকেআর।

এই বিরাট হারের ফলে কেকেআরের প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল। নিজেদের শেষ ৩ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও শেষ চারে যেতে হলে অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কেকেআরকে। অন্যদিকে এই জয় লখনউয়ের প্লে-অফে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে দিল। আপাতত লিগ টেবিলের শীর্ষে তারা।