শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে ছিলেন বলেই হয়তো তখনও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল অজি সমর্থকরা। সমর্থকদের নিরাশ করেননি এই অজি অলরাউন্ডার। ম্যাক্সওয়েল শো’তে ভারতের ২২২ রানের পাহাড় টপকে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে অজিরা।
মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২২ রান সংগ্রহ করে ভারত। ব্যাট হাতে ৫৭ বলে অপরাজিত ১২৩ রান করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াদ। জবাবে ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো সেঞ্চুরি ও শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয় তুলে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শিশির ভেজা মাঠে ১৯তম ওভার করতে এসে ম্যাথু ওয়েডের সামনে পড়েন আকসার প্যাটেল। প্রথম ৪ বলে দেন ১৭ রান। এর পরের দুই বলেও বাই ও সিঙ্গেল থেকে আসে আরও ৫ রান।
ভারতের হয়ে রবি বিষ্ণোই ৪ ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন অর্শ্বদ্বীপ সিং, আবেশ খান ও আকসার প্যাটেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত ২৪ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সোয়াল ও ঈশান কিষানকে হারায়। পরে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব থিতু হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৮১ রান।
এরপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন গায়কোয়াদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতকের পথে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ৪৭ বলে ৫৭ রানের পর তিলক ভার্মার সঙ্গে মাত্র ৫৯ বলে তোলেন ১৪১ রান।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে ৩২ বলে প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেন গায়কোয়াদ। পরের ৫০ রান করতে তার লাগে মাত্র ২০ বল। ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৩টি চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৭টি ছক্কা।
এদিকে শেষ ৩ ওভারেই স্কোরকার্ডে ৬৭ রান জমা করে ভারত। এদিন ৪ ওভারে ৬৪ রান দেওয়া অ্যারন হার্ডি ছুঁয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। এছাড়া ম্যাচ জয়ের নায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১ ওভারেই দেন ৩০ রান। এমন খরুচে বোলিংয়ের মধ্যেও জেসন বেহরেনডর্ফ ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১২ রান।
সমকাল