২৭ জুন ২০২৩
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করা একজন সাংবাদিককে অনলাইন হয়রানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভারতে মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের উন্নতিতে সরকার কী করেছে। ‘আপনি এবং আপনার সরকার আপনার দেশের মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার উন্নত করতে এবং বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক?’ তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
হিন্দিতে প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে একেবারেই কোনো বৈষম্য নেই, জাত, ধর্ম, বয়স বা কোনো ধরনের ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে নয়।’ ‘প্রকৃতপক্ষে, ভারত একটি গণতন্ত্র। এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমন উল্লেখ করেছেন, ভারত এবং আমেরিকা, উভয় দেশ, গণতন্ত্র আমাদের ডিএনএতে রয়েছে। গণতন্ত্র আমাদের আত্মা। গণতন্ত্র আমাদের শিরায় ছুটে চলেছে। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি,’ রিপোর্টে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এরপরে সিদ্দিকী ‘বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনলাইন ট্রোলিংয়ের’ সম্মুখীন হয়েছেন। তিন দিন আগে ওয়্যারের একটি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, সিদ্দিকী ‘হিন্দুত্বপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিশেষ করে টুইটারে লক্ষ্যবস্তু আক্রমণের শিকার হয়েছেন’। ‘সিদ্দিকীর উপর অনলাইন আক্রমণ, তার মুসলিম ঐতিহ্য এবং পাকিস্তানের সাথে সংযোগকে তুলে ধরে সেই দেশের একজন পিতামাতা থাকার কারণে, বিজেপির তথ্য সেলের প্রধান অমিত মালভিয়ার নেতৃত্বে ছিল,’ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এরপর সিদ্দিকী তার ভারতে জন্মগ্রহণকারী বাবার সাথে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য উল্লাস করে টুইটারে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন।
সোমবার হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এবং হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন যে, সিদ্দিকী ‘ভারতের অভ্যন্তরে লোকেদের কাছ থেকে তীব্র অনলাইন হয়রানির শিকার হয়েছেন’ যার মধ্যে বিজেপি-সরকারের সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু রাজনীতিবিদও এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। ‘আমরা সেই হয়রানির রিপোর্ট সম্পর্কে সচেতন। এটা অগ্রহণযোগ্য। এবং আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও জায়গায় সাংবাদিকদের যে কোনও হয়রানির নিন্দা জানাই, এটা গণতন্ত্রের নীতির বিরোধী,’ কিরবি বলেছিলেন। সূত্র: ডন।