কাউনিয়া উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন ইমরান হোসেন (৩৫)। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারকে আর চাই না। কারণ, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে সরকার। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। চলতে পারছি না। সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাতেই বিএনপির সমাবেশে এসেছি।’
আজ বিকেল পাঁচটার দিকে নগরীর জুম্মাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে হাজারো নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা মূলত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা থেকে এসেছেন। এ ছাড়া নগরীর সিও বাজার, উত্তম, মডার্ন, রেলস্টেশনসহ আশপাশের স্কুল, কলেজ ও ফাঁকা মাঠে মোটরসাইকেলসহ লোকজন অবস্থান নিয়েছেন।
জুম্মাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কথা হয় পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জানতাম গাড়ি বন্ধ করবে সরকার। পথে পথে বাধা দেওয়া হবে। এ জন্য গতকাল বৃহস্পতিবারই এখানে এসেছি। আমরা দুই হাজারের বেশি লোক এখানে অবস্থান করছি। লোকজন আসা অব্যাহত রয়েছে।’
ওই বিদ্যালয় মাঠেই অবস্থান নেওয়া হাতীবান্ধা উপজেলার সজীব বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ৩০০ জন রিকশা-ভ্যানে গত রাতে এসেছি। চিড়া–মুড়ি খেয়ে আছি। সমাবেশ শেষ করার পরে ঘরে ফিরব।’
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মী, সমর্থকেরাসহ সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাঁরা এ সরকারকে চান না। সমাবেশের দুই দিন আগেই রংপুরে মানুষ আসতে শুরু করেছেন। সবার আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে, সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে রংপুরে।