‘মানুষের মনে ভয় ঢোকাতে গুম করে’

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে শুক্রবার আলোচক ছিলেন মেজর জেনারেল (অবঃ) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান এবং সাংবাদিক তাসনিম খলিল৷

    

DW Khaled Muhiuddin Asks 120  

ডিজিএফআই-এরকোন আইনে বন্দিশালার কথা বলা হয়েছে, ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংগঠিত। বাইরের শত্রু এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বিপদ থেকে রক্ষা করে। ডিজিএফআই সরকারের অধীনস্থ।”

হেলাল মোর্শেদ খান জানান, অস্ত্রবহন এবং অরাজকতা সৃষ্টির কার্যক্রম করে সরকার পতনের সঠিক আন্দোলনকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে সেটি সম্পর্কে সরকারকে জানায় ডিজিএফআই। কারণ তারাও গোয়েন্দা সংস্থা।

পুলিশের পাশাপাশি সমান্তরাল তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে একাধিক চ্যানেল থেকে তথ্য পাঠানো হয় যাতে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা না হয়, দাবি খানের।

ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দিশালায় আটকে রাখা হয় কোনো বিধি দ্বারা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সরকার ২৪ ঘণ্টার জন্য অনুমতি দেয়।

সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল জানতে চান, ডিজিএফআই শাসক দলের হয়ে কাজ করে কি?

হেলাল মোর্শেদ খানের পাল্টা যুক্তি, কেউই শাসক দলের হয়ে কাজ করে না। আদালতের বিচারে জনসমক্ষে এরকম কিছু প্রমাণ হলে সেটি বেআইনি।

গোয়েন্দা সংস্থা পুলিশের মাধ্যমে বিধি মেনে জিজ্ঞাসা করে, সাদা পোশাকে নয়, দাবি হেলাল মোর্শেদের।

তাসনিম এসময় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ডিজিএফআইয়ের এক গোপন প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিশেষ অবদান রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনায় ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে বিশেষ সেবা পদক দেয়া হচ্ছে বলে জানান।

ডিজিএফআই ভুল করলে কাকে অভিযোগ করা হবে, সেগুলো নিয়ে কোথাও কিছু বলা নেই বলে জানান তিনি। খলিলের কথায়, ডিজিএফআই গোপন বন্দিশালা চালালে তার দায়ভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর।

‘‘এগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত,” বলেন তিনি৷

হেলাল মোর্শেদ খানের কথায়, ‘‘ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা সেনাবাহিনীর হলেও বিধিমালা মেনে চলেন। নিজের পরিধিতে থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে সরকারকে জানান।”

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে চট্টগ্রামে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা ছিল কি না, তা কোনো অফিসার স্পষ্টভাবে জানিয়ে সরকারকে সাহায্য করলে পুরস্কার দেয়া যায়।”

খলিল বলেন, ‘‘ডিজিএফআই-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।”

সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের এই সম্পাদক বলেন, ‘‘মানুষের মনে ভয় ঢোকানোর জন্য গুম করা হয়।নিরপরাধ মানুষকে আটকে তাদের দিয়ে মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করা হয়।”

আরকেসি/এআই