‘ভোট ডাকাতির উৎসব’ করতে চায় সরকার: রিজভী

সরকার এবারের নির্বাচনেও ‘ভোট ডাকাতির উৎসব’ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘অতীতের মতোই সারা দেশের জনগণকে বন্দী করে, গৃহছাড়া করে ভোট ডাকাতির উৎসব সফল করতে চায় সরকার।’

আগামীকাল রোববার থেকে বিএনপির ডাকে দুই দিনের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রিজভী।

শনিবার বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে এক সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল কবির রিজভী এমন অভিযোগ করেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তাঁর অভিযোগ, সরকার ভোট ডাকাতির পথ কণ্টকমুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তিসহ বিরোধী দল ও বিরোধী মতে বিশ্বাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে দমন–পীড়ন চালাচ্ছে।

বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৩০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, সারা দেশে চলছে ইতিহাসের জঘন্যতম ভয়াবহ মামলাবাজি ও আটক-বাণিজ্য। দেশের প্রতিটি থানা ও উপজেলার চিত্রপট অভিন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার–বাণিজ্যের কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছাড়া গ্রামগঞ্জ, মফস্‌সল, জনপদে কেউ থাকতে পারছেন না।

শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনের আহ্বান

সরকার পতন ও তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দুই দিনের হরতাল আগামীকাল শুরু হচ্ছে। কাল সকাল ছয়টায় শুরু হতে যাওয়া এ হরতাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় শেষ হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য নেতা-কর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই। এই হরতাল অধিকার আদায়ের জন্য।’

রিজভী বলেন, জনগণ রাজপথে নেমেছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে সরকারের পতন হবে। বাংলাদেশে একতরফা কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে।

রিজভী অভিযোগ করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৩৩০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৭টি এবং তাতে আসামি করা হয়েছে ৯৭৫ জনকে। একই সময়ে আহত হয়েছেন বিএনপির ১২ জনের বেশি নেতা-কর্মী বলে উল্লেখ করেন রিজভী। রিজভীর অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ হাজার ২১০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৯৬টির অধিক মামলা হয়েছে। আহত ৪ হাজার ১৩৩ জনের বেশি নেতা-কর্মী। ১ সাংবাদিকসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময়ে।