প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসের চালক হারুন মিয়া বলেন, তাঁদের গাড়ি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তাই সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। যাত্রীর চাপও আগের মতোই রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১১, ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মৌচাক ও মালিবাগ রুটে দেখা গেছে প্রচুর গাড়ির চাপ। প্রতিটি মোড়ে যানজট লেগে আছে।
আবদুল্লাহপুর থেকে সকাল সাড়ে আটটায় গুলিস্তানের উদ্দেশে রওনা করেছেন ইকবাল হোসেন। সকাল ১০টার দিকে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ সড়কে গাড়ির চাপ বেশি। দেড় ঘণ্টায় মোটরসাইকেলে করে মালিবাগ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন তিনি।
এসব এলাকায় হরতালের সমর্থনে কাউকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। তবে সড়কে পুলিশ সদস্যদের গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। জোটের নেতারা বলেছেন, দুর্গতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় মানুষ হরতালে সমর্থন দেবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো বাধা না দেওয়া হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হবে।