‘ভারত-পাকিস্তান সিরিজ এখন আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না’

ভারত-পাকিস্তান সর্বশেষ কবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে? ভুলে যেতেই পারেন। ১১ বছর আগের কথা তো। সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। এরপর তাদের ম্যাচ দেখতে চেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টের জন্য।

ভারত–পাকিস্তান সিরিজ কতটা আকাঙ্ক্ষিত, সেটার ধারণা পাওয়া যায় গত শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনার দিকে তাকালে। মাঠের খেলায় খুব একটা প্রতিযোগিতামূলক না হলেও মাঠের বাইরের উত্তেজনা এখনো কাটেনি। তাই ভারত-পাকিস্তান সিরিজ দেখতে চান সবাই। আর বিশ্বকাপের রেকর্ড একতরফাভাবে ভারতের পক্ষে থাকলেও দুই দলের সিরিজ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই হয়ে থাকে। যদিও ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর মনে করছেন, ভারত–পাকিস্তান সিরিজ হলে এখন আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না।

ওয়ানডেতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ১৩৫ বার। যেখানে বেশ এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ১৩৫ বারের দেখায় পাকিস্তান জিতেছে ৭৩ বার, ভারত ৫৭ বার, বাকি ৫ ম্যাচে ফল হয়নি। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আটবারের দেখায় প্রতিবারই জিতেছে ভারত। আর সর্বশেষ ১০ দেখায় ভারত জিতেছে ৭টিতে আর পাকিস্তান মাত্র ২টিতে। এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, সব মিলিয়ে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে দাপট দেখাচ্ছে ভারত।

ভারতের এই দাপটের কারণেই গম্ভীর বলছেন ভারত-পাকিস্তান সিরিজ এখন আর আগের মতো উত্তাপ ছড়াবে না। স্টার স্পোর্টসে তিনি বলছেন, ‘দাপটের সঙ্গে হারানো’—এই শব্দটা আপনি খুব কম সময়ই ব্যবহার করতে পারবেন। তাও যখন আপনি খেলবেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। আপনি যদি রেকর্ড দেখেন, একসময় পাকিস্তান এভাবে ভারতকে হারাত। যদিও অনেক বছর ধরে এখন ভারতই দাপট দেখাচ্ছে। এটা উপমহাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। সব সময় আমরা বলি, ভারত–পাকিস্তান সিরিজ হলেই প্রতিযোগিতামূলক হবে। কিন্তু ভারত–পাকিস্তান সিরিজ এখন আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না, কারণ দুই দলের ব্যবধানটা এখন অনেক বেশি।’

আহমেদাবাদে গত শনিবার পাকিস্তানকে একরকম লজ্জাই দিয়েছে ভারত। সেদিন ২ উইকেটে ১৫৫ রান থেকে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ১৯২ রানের লক্ষ্য ভারত টপকে যায় ৭ উইকেট আর ১১৭ বল হাতে রেখে। সেই ম্যাচে বুমরা ৭ ওভার বোলিং করে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। কুলদীপ যাদবও নেন ২ উইকেট।

বিশ্বকাপে বল হাতে ভারতকে নিয়মিত উইকেট এনে দেওয়া এই দুই বোলারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘যদি কোনো অধিনায়কের কাছে যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদব থাকে, এটা তাঁর জন্য বিলাসিতা। ৫০ ওভারের মধ্যে এমন ২০টি ওভার পাচ্ছে, যারা যেকোনো সময় উইকেট এনে দিতে পারে।’

প্রথম আলো