ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমাদ মোস্তাককে নিয়ে বিশ্বজুড়ে অন্তঃজাল দুনিয়ায় চলছে তোলপাড়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনে গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা এমাদ মোস্তাক ও তার সৃষ্টিশীলতা নিয়ে ব্রিটেনে বিবিসি খবর প্রচারের পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে। বিস্তৃতি ঘটছে এমাদকে নিয়ে মানুষের কৌতূহলের।
ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে একেবারেই নিভৃতচারী এমাদকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম, ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ ও ব্রিটেনে বাস করা দশ লাখের বেশি বাংলাদেশি মানুষের কমিউনিটিতে, বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে আলোচনা চলছে।
মাত্র ৪০ বছর বয়সী বাংলাদেশি বাবা-মার সন্তান এমাদের জন্ম ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে। জন্মের একমাস পরই শিশু এমাদ চলে যান বাংলাদেশে। বাংলাদেশেই লেখাপড়ায় হাতেখড়ি। বয়স যখন সাত বছর তখন (১৯৯০ সালে) পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসেন এমাদ।
স্ট্যাবল ডিফিউশনের সিইও আর এমাদ ব্রিটেনের বিভিন্ন হেজ ফান্ডে এক দশকের বেশি সময় কাজ করেছেন। অসচ্ছল ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ছোঁয়া দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এমাদ মোস্তাকের পথচলা। তিন বছর আগে লন্ডনে ২০২০ সালের শেষার্ধে নিজের কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন তিনি। তার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেবাদাতা কোম্পানিটি ওপেন সোর্স পাঠ্য থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম তৈরি করে।
স্ট্যাবল ডিফিউশন হলো টেক্সট-টু-ইমেজ মডেলের প্রক্রিয়া যা প্রাথমিকভাবে টেক্সট বর্ণনার ওপর শর্তযুক্ত বিশদ চিত্র তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি ইনপেইন্টিং, আউটপেইন্টিং এবং ইমেজ তৈরি করার মতো অন্যান্য কাজেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি টেক্সট প্রম্পট দ্বারা নির্দেশিত চিত্র অনুবাদ।
কাজের পরিধির বিস্তৃতির মাধ্যমে প্রযুক্তি দুনিয়ায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় পরিচিতি পেয়েছেন এমাদ। চলতি বছরের মার্চে তিনি একটি খোলা চিঠিতে সই করেন, যাতে সমস্ত এআই ল্যাবগুলোকে অবিলম্বে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বিরতি দিয়ে সিস্টেমের প্রশিক্ষণ শক্তিশালী করতে আহ্বান জানান।
পিকেবি নিউজে এমাদকে নিয়ে সোমবার (১৫ মে) প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তার মোট আনুমানিক সম্পদ মূল্য ৮০৩ মিলিয়ন পাউন্ড।
লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলর অহিদ আহমদ সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমাদ ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য গর্ব, অনুপ্রেরণা। তিনি এআই প্রযুক্তি এবং এর প্রয়োগের অগ্রগতিতে ভালো অবদান রেখেছেন। তার ব্যতিক্রমী কাজ বিশ্বজুড়ে তাকে পরিচিতি দিয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আবেগের সঙ্গে উদ্ভাবন চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে।’