- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৪ আগস্ট ২০২০
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শফিউল বারী বাবুর স্ত্রীর একটা কথা না বলে পারছিনা। বাবুর মৃত্যুর পর আমি যখন তার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম তখন তার স্ত্রী আমাকে বলেছিল যে তার বিবাহিত জীবনে খুব বেশি একটি সময় বাবুর কাছ থেকে পায়নি। বেশিরভাগ সময় বাবুকে জেলে থাকতে হয়েছে আর বাহিরে থাকলে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। করোনা থাকার কারণে বিবাহিত জীবনের লাস্ট ৪ মাস একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেত।
তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটা একটা নষ্ট সময়। এখানে ভালো মানুষের কোনো মূল্য নেই বিশেষ করে রাজনীতিতে নাই বললেই চলে। এরকম একটা অবস্থায় শফিউল বারী বাবু ও আব্দুল আওয়াল খান এর মত দুজন তরুণ নেতার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যা দল হিসেবে শুধু বিএনপির জন্য নয় পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বলব বাবুকে অনুসরণ করা যায়। তিনি অনুকরণীয় ছিলেন। তারা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন শহীদ জিয়ার আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে গেছেন। বর্তমান সময়ে বাবু ও আউয়ালের খুব প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা মস্ত বড় ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের উপর চেপে বসে আছে। আন্দোলন সংগ্রাম করে আমাদের ফিরিয়ে আনা গণতন্ত্রকে তারা নস্যাৎ করে দিয়েছে। দেশকে সম্পূর্ণ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে প্রায়। বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আমরা যে লড়াইটা লড়ছি সেটা বাবু-আউয়াল সামনে নিয়ে লড়ছিল। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই,মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। এই লড়াইয়ে এদেশের সকল মানুষের সমর্থন আছে। তারপরও সেটা কেন জানি সফল হচ্ছে না। এই সরকার অন্যায় ভাবে সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় চেপে বসে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে কোন ফ্যাসিস্ট কে সরাতে হলে মূল্য দিতে হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা বিএনপির অনেক মূল্য দিয়েছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম খুনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার আসামি। তাই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে একটা পরিবর্তন ঘটাতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বাবু-আউয়ালরা সেই কাজটি করে যাচ্ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল অংশগ্রহণ করেন।