- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে পিলখানা সদর দফতরে বিডিআর বিদ্রোহের সাথে আওয়ামী লীগ ও এর সরকার জড়িত ছিল। যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ১৪ বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তার স্মরণে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি যখনই আসে তখনই আওয়ামী লীগ সরকার অস্থির হয়ে যায়। তাদের (সরকারের) একজন মন্ত্রী গতকাল (শনিবার) বলেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কিনা।
বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ ও তার সরকার পুরোপুরি জড়িত ছিল। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং তাদের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি দুর্বল পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এবং দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে নিরাশ করার জন্য এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।’
ফখরুল বলেন, বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী নেতাদের সাথে কথা বলে এবং তাদের সাথে সমঝোতা করায় সরকারের সম্পৃক্ততা সহজেই বোঝা যায়। ‘এটা কি ধরনের আলোচনা ছিল? যারা আমাদের সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের হত্যা করছে তাদের সাথে আপনি আপস করেছেন।’
সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী বিদ্রোহ দমন করতে হবে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে, অন্য কোনো উপায়ে নয়। ‘মঈন উ আহমেদ ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান যিনি ১/১১ (রাজনৈতিক পরিবর্তন) এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার প্রধান ভূমিকা পালনকারী। এবং যিনি দেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন।’
২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর একটি গুপ্ত চক্রান্তে পিলখানা সদর দফতরে আধাসামরিক বাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পিলখানা সদর দফতরে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, সরকার বিদ্রোহ-বিধ্বস্ত আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের লোগো এবং ইউনিফর্ম পরিবর্তন করে এর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখে।
সূত্র : ইউএনবি