জাতীয় স্বার্থে সরকার যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের দুর্যোগ ও কষ্টের সময় পাশে না দাঁড়িয়ে কথামালার ধারা বর্ষণ করে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বনানীর প্রকল্প অফিসে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে জাপান সরকারের সহায়তায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট-বড় ২১টি সেতু নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণের লক্ষ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চুক্তি সই হয়।
পানিবন্দী মানুষের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসন, কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে গুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক।
চুক্তিপত্রে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল সই করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল রুট-৬ জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ ছাড়া জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর। চট্টগ্রাম থেকে দেশের পর্যটন তীর্থ কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করণে জাপানের অর্থায়ন ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে করোনায় আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি ৬১টি সেতু নির্মাণে ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং ৩৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে চলেছে। নতুন করে ২১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ভ্রমণের সময় কমে আসবে।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেনসহ প্রকল্প কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।