আরও পৃথক চারটি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৫ জন নেতা–কর্মীর সাজা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল রোববার এই রায় দেন। যে চারটি মামলায় সাজা হয়েছে, সেগুলো দায়ের করা হয় ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কেউই আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এ নিয়ে গত তিন মাসের বেশি সময়ে ৪৫টি মামলায় বিএনপির ৭৩৮ জন নেতা–কর্মীর সাজা হলো।
এ ছাড়া ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ জন নেতা–কর্মীর প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রায় দেন। মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, ভাটারা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খবর পান যে ভাটারার উত্তর নয়ানগরের আতাউর রহমানের বাসায় বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশ সদস্যরা সেখানে আসার পর আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ মামলায় বেআইনি সমাবেশের দায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের মার্চ মাসে দায়ের করা মামলায় আরও চারজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের এসিএমএম সুলতান সোহাগ উদ্দিন গতকাল এই রায় দেন। এ ছাড়া ২০১২ সালে দায়ের করা মামলায় আরও পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।