দৃকনিউজ
27 September 2022
কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রাম বাঁশজানির এই মেয়েরা ২০১৭ সালে তৃতীয় হয়েছিল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায়। পুরো প্রতিযোগিতার, সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন এ দলের স্ট্রাইকার স্বরলিকা পারভীন।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন বাঁশজানি গ্রামের এই স্বরলিকাকে দেশসেরার পুরষ্কার হাতে তুলে দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সদ্য ভারত-বাংলাদেশ বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশের পাওয়া প্রথম উপহার হচ্ছে স্বরলিকা পারভীন।
নিজেদের অদম্য আগ্রহ, শিক্ষকদের উৎসাহ আর এলাকাবাসীর আর্থিক ও অন্যান্য সমর্থনে কোন ধরনের প্রেশাদার প্রশিক্ষক ছাড়াই এই ক্ষুদে ফুটবলাররা হয়ে উঠেছিলেন দেশ সেরা…
কিন্তু বছর দুই না যেতেই এই দলেরই ৭ জন খেলোয়ার বাল্যবিয়ের শিকর হয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন। দেশসেরা সেই স্বরলিকা পারভীনও আছেন তাদের মাঝে।
বিশেষ কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই দারিদ্রকে নিত্যসঙ্গী করা বাঁশজানীর এই ফুটবলাররা দেশ সেরা হয়ে উঠলেও, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাফুফে, স্থানীয় সরকার নেয়নি তাদের যথাযথ পরিচর্যা করার দায়িত্ব।
দেশের ফুটবলের এই বেহাল দশায় যেখানে নারী ফুটবলাররা জ্বালছেন আশার আলো, সেখানে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ঘটছে এরকম বাল্য বিবাহ। কণ্যা শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ করে, সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের পরিচর্যা করায় এগিয়ে আসতে হবে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকেই।