বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন মার্চে, এশিয়া থেকে সহ-আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া

logo

তারিক চয়ন

(১৪ ঘন্টা আগে) ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, ৬:১৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত বছরের ৯ এবং ১০ই ডিসেম্বর গণতন্ত্র সম্মেলনের (সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি) প্রথমটি আয়োজিত হয়েছিল। তাতে অংশ নিতে বিশ্বের ১১০টি রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দুটি সম্মেলনের পরবর্তীটি আগামী বছর (২০২৩) অনুষ্ঠিত হবে। মার্চ মাসের ২৯ এবং ৩০ তারিখ উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে ইতিমধ্যেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে, এবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরো ৪ টি দেশ গণতন্ত্র সম্মেলনের সহ-আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। দেশগুলো হচ্ছেঃ কোস্টারিকা (উত্তর আমেরিকা), নেদারল্যান্ডস (ইউরোপ), দক্ষিণ কোরিয়া (এশিয়া), জাম্বিয়া (জাম্বিয়া আফ্রিকা)। এখানে লক্ষণীয় যে, চারটি দেশই ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে অবস্থিত।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সহ ওই চার দেশ এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে যৌথভাবে আগামী গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিটি হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রচার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়ঃ প্রথম সম্মেলনের উপর ভিত্তি করে, দ্বিতীয় সম্মেলন দেখাবে যে, কিভাবে গণতন্ত্র  নাগরিকদের জন্য কাজ করে এবং বিশ্বে সবচেয়ে চাপে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সর্বোত্তমভাবে সজ্জিত।

‘জবাবদিহি ও স্বচ্ছ শাসন চ্যালেঞ্জের মুখে এমন একটি যুগে আমাদের বসবাস’ উল্লেখ করে এতে বলা হয়ঃ এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেখাতে চাই, দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধি, শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থাই সর্বোত্তম উপায়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের যে বড় রকমের সংকট চলছে, তা মোকাবিলা করার জন্য গণতন্ত্রের যেসব মৌলিক আদর্শ রয়েছে সেগুলোর ওপর জোর দিয়ে বিভিন্ন দেশ যারা গণতান্ত্রিক দেশ বা গণতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে স্বাগত জানাবেন, সম্মেলনে সমবেত করবেন। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এ সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার পথ নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে তিনটি বিষয় নির্ধারিত হয়েছিল: যারা কর্তৃত্ববাদের বিরোধিতা করছেন, যারা দুর্নীতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন এবং যারা মানবাধিকার রক্ষণ করছেন কিংবা যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। এর কারণ হিসেবে তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোকে গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকায় আমন্ত্রিতদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।