মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি লক্ষ্য তুলে ধরেন। এগুলো হলো শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ; গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার; সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সহনশীলতা; রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরতে সহায়তা করা এবং মার্কিন বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এসব লক্ষ্য সম্পর্কে পিটার হাস বলেন, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক বিরাজমান। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত পড়ছে। বেসরকারি খাত জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পৃক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
মার্কিন বিনিয়োগ সম্পর্কে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তাই এখানে পূর্ণকালীন একজন কমার্শিয়াল অ্যাটাশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মানবিক কারণে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এখন তাদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা করছে।
অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।