বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আগ্রহী ভারত

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম’ বিষয়ে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের সক্ষমতার বিস্তৃত দিকগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহী ভারত, যার মধ্যে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও রয়েছে।

প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে ‘পরবর্তী স্তরে’ উন্নীত করার কথা বলেন ভারতের হাইকমিশনার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ দর্শনে গত এক দশক ধরে পরিচালিত ভারতীয় প্রতিরক্ষাশিল্পের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক সেমিনারে তুলে ধরেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ওই দর্শনে পরিচালিত হওয়ায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতে বিপুল বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা রপ্তানিও বাড়িয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এই সেমিনারকে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিরক্ষাশিল্পের আগ্রহের প্রতিফলন এবং ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার একটি নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণচুক্তির বিষয়টিও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়ার অংশ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম আর শামীমও সেমিনারে বক্তব্য দেন। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি আধা সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধিরাও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম আলো